নোয়াখালীতে পর্নোগ্রাফি ও ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ফিরোজ শাহ মাইজভাণ্ডারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদুর রহমান ওরফে আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। গতকাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী সুধারাম মডেল থানায় এক পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এক স্কুল শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি তার মোবাইলে পাঠিয়ে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব ও ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই শিক্ষিকার স্বামী মামুন অর রশিদ ফিরোজ শাহ মাইজভাণ্ডারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদুর রহমান ওরফে আমজাদ হোসেনসহ আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গতকাল বিকালে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের আলোকে মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেনকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আমজাদ হোসেন নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাইজদী কোর্ট এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বিষয়টি গতকাল মানবজমিনকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে মানহানি ও চাঁদা দাবির ঘটনায় শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।