Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
চাকরির ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক [ অনলাইন ] 09/05/2024
চাকরির ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক
এক শিক্ষিত প্রতারকের নাম জহিরুল ইসলাম বিপু। বিভিন্ন ধরনের অপকৌশলে পরিপক্ক বিপু যখন যে থানার অভ্যন্তরে অফিস খোলেন, তখন সেই থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এর পর আধুনিক ও মনোমুগ্ধকর ডেকোরেশনে অফিস সাজিয়ে মানুষ জনকে আকৃষ্ট করে। ‘বিপু মওলা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি গ্রুপ কোম্পানিতে উচ্চ পদস্থ  কর্মকর্তা আবশ্যক। গত ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর গণমাধ্যমে এমন  বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক আবদুল ওয়াহিদ আকন্দ। তাকে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

নিয়োগের দুই মাস পরও তাকে বেতন না দিয়ে উল্টো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা লোন তুলে দেয়ার শর্তে আবদুল ওয়াহিদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জামানত নেয় প্রতিষ্ঠানটির এমডি পরিচয় প্রদানকারী জহিরুল ইসলাম বিপু। এর কয়েকদিন পরই লাপাত্তা হয়ে যায় অফিসটি। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও অফিসের সন্ধান পাননি তিনি। থানা পুলিশও ব্যর্থ হয়। ভূক্তভোগী ওয়াহিদ আকন্দ বলেন, প্রথম দিকে অফিসটির ডেকোরেশনসহ অন্যান্য বিষয় দেখে এমনটি মনে হয়নি প্রতিষ্টানটি ভূয়া। দুই মাস অফিস করার সময় আমার রুপালী ব্যাংকের চেক অফিসের ড্রয়ারে ছিল। এরই মধ্যে সেখান থেকে দুটি চেকবই হরিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই অর্থাৎ ২০২২ সালের ৭ মার্চ পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। 

কিন্ত পরবর্তীতে বিপু ও গোলাম মওলা আমার পরিচিত ব্যক্তিদের জানায়, আমার হারানো চেকবই ২টি তাদের কাছে আছে এবং সেটি দিয়ে তারা আমার ক্ষতি করবে।  ঠিকই প্রতারক বিপু সেই চেকের পাতা নিয়ে উল্টো তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ধার দেখিয়ে চেক ডিজঅর্নারের মামলা করে। তাই প্রতারক বিপুকে গ্রেপ্তারে এবং জামানতের টাকা ফেরত পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী আবদুল ওয়াহিদ।  শুধু আবদুল ওয়াহিদ নয়; তার মতো এমন বহু ভুক্তভোগী রয়েছেন। যাদেরকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে প্রতারক জহিরুল ইসলাম বিপুসহ তার সহযোগীরা। এক জায়গায় অফিস খুলে প্রতারণার পর সেখান থেকে অন্যত্র চলে যায় সে। আবার সেখানে অফিস খুলে কয়েক মাস প্রতারণার পর লাপাত্তা হয়ে যায়। 

এভাবে রাজধানীতে অফিস খুলে প্রতারণা করে আসছে প্রতারক বিপু। অসংখ্য ভুক্তভোগী ও একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও বরাবরই বিপু থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। বিপুর বিরুদ্ধে পল্টন, মতিঝিল, বাড্ডা থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।  ভুক্তভোগীরা বিপুর গ্রামের বাড়ি গিয়েও সন্ধান পাচ্ছেন না। নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা নেয় বিপুসহ তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে অফিস নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় বিপু।  মতিঝিল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি টাকা ফিরে পাননি। বিপুকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জানতে চাইলে মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: রাসেল হোসেন জানান, বিপুর বিরুদ্ধে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দায়ের করা দুটি প্রতারণা মামলা রয়েছে। গত ২০২২ সালের ২৫ মে পল্টন থানায় এবং ২০১৬ সালের ৯ মার্চ একই অভিযোগে (প্রতারণা) মামলা করেন দুই জন ভুক্তভোগী। এসব মামলায়ও গ্রেপ্তার হয়নি বিপু। জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, তারা সেসময় দায়িত্বে ছিলেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এভাবে পুলিশের গড়িমসিতে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে প্রতারক বিপু। আর ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে প্রতারণা করছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তবে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বিপু যেই থানায় অফিস খোলে, সে থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট অফিসারদের টাকা দিয়ে আগেই ম্যানেজ করে ফেলে। প্রতারণার মাধ্যমে আয় করা অর্থের ভাগও পান থানা পুলিশ। তাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
• বায়েজিদে ঋণের প্রলোভনে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২
• ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ: হাতিয়ে নিল ২৫ লাখ টাকা
• ই-কমার্সের অনেক টাকা পাচার হয়ে গেছে: ভোক্তার ডিজি
• ‘টেকা দেন দুবাই যামু’
• বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার
• যারা কর দেয় না টাকা পাচার করে তারা অনেক বেশি শক্তিশালী
• টাকার সঙ্গে ব্যাংকের ম্যানেজার উধাও
• পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে কমিশন দেওয়ার প্রস্তাব
• ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বেপরোয়া লুটপাট
• পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদার টাকার ভাগাভাগির ভিডিও ভাইরাল
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved