[ শেষের পাতা ] 16/04/2020
 
দেশের মানুষ ও অর্থনীতি রক্ষায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সব শ্রেণির মানুষ এবং অর্থনীতি রক্ষায় আমরা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছি। ‘যাতে এই করোনাভাইরাসের সময়টা পার করে আপনারা আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু চালাতে পারেন।

এতে সব শ্রেণির মানুষ সুবিধা পাবে।’ তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এবং সেই সুযোগটা সৃষ্টির জন্যই আমরা ৩ বছর মেয়াদি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছি। আশা করি আমরা এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণের সময় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একেবারে নিু আয়ের মানুষ- আমাদের দিনমজুর, কামার-কুমার, রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানদার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী- প্রত্যেকের কথাই আমরা চিন্তা করেছি। প্রত্যেকের দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছি। সব শিল্প-কলকারখানা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালু থাকে সে দিকটাও বিবেচনা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আজকের যে অর্থনৈতিক মন্দা তা বিশ্বব্যাপীই দেখা দেবে, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেজন্য বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করতেই আমরা খাদ্য উৎপাদনে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না। গরিব মানুষের জন্য আমরা যে সহায়তা দেব কেউ এর অপব্যবহার করবে, এটা আমরা বরদাশত করব না। এই অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে দলমত বিবেচনা না করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সে আমার দলেই হোক বা অন্য দলেরই হোক, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘ত্রাণ দেয়া নিয়ে কয়েকটা জায়গায় সমস্যা পেয়েছি। আমরা যদি তুলনা করি আমাদের প্রায় ৬৮ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। চার হাজারের ওপর ইউনিয়ন, এরপর উপজেলা রয়েছে। সব হিসাব করে দেখা গেল যে, হয়তো ৫-৭ জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।’

এ সময় শুধু সরকারের সমালোচনা না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকে অনেক কথা বলে বেড়াচ্ছেন, অনেক দল-মত, সুশীল সমাজ বা অনেকেই। তারা কিন্তু মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। সমালোচনা করতেই ব্যস্ত।

শেখ হাসিনা বলেন, ৬৮ হাজার জায়গায় আমরা ঠিকমতো দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে ৫-৭টা জায়গায় একটু সমস্যা হয়, আমার তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নিয়েছি। সেটা নিয়ে তারা চিৎকার করে যাচ্ছেন। তারা কিন্তু মানুষকে একটি পয়সা দিয়েও সাহায্য করছেন না।

মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। কিন্তু তাদের কথাটা বিক্রি করেই যাচ্ছেন। এ ধরনের লোক থাকবেই। সব সমাজেই থাকে। তারা কথা বেচেই যাবে, এটাই তাদের ‘প্রফেশন’। এটাই তারা করে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। আমরা সেটা কার্যকর করে যাচ্ছি। চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছি। তারাও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সরকারিভাবে যা দেয়া হচ্ছে, তার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে যে যতটুকু পারছেন সাহায্য করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষকে যেমন বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি, তেমনি ১০ টাকা কেজি মূল্যে ওএমএস’র মাধ্যমে চাল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি।

যারা তালিকার বাইরে রয়েছে তাদের জন্য আমরা কার্ড তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি মানুষ যেন সহায়তাটা পায়, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে প্রত্যেকের ঘরে এই ত্রাণ সহযোগিতাটা পৌঁছে যায়। রাতে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যাতে করে কেউ ভিড় না করেন।

একসঙ্গে জড়ো না হয়। নতুন করে কেউ যাতে সংক্রমিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ত্রাণ সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সরকারপ্রধান। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে জনসমাগম করে ত্রাণ বিতরণ না করে প্রশাসনের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে ত্রাণ বিতরণ করার পরামর্শও দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এক জায়গায় জড়ো হয়ে বা ভিড় করে ত্রাণ বিতরণ করবেন না। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। যারা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা সরকার, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণ করেন। যাতে লোক সমাগম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি এলাকায় কমিটি করে দিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবকরা রয়েছে। তাদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করলে সবাই পাবেন। কেউ বাদ যাবেন না। তিনি বলেন, আজকে যে দুঃসময় সেটা একদিন কেটে যাবে। বাংলাদেশ আবারও এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই দেশকে গড়ে তুলব আমরা ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনাভাইরাস আসার পর অর্থনৈতিক গতিধারা কিছুটা শ্লথ হয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপীই এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসে সমগ্র বিশ্ব বলতে গেলে স্থবির হয়ে আছে। আবারও সবাইকে সচেতন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, মানুষকে সুরক্ষিত করতে হবে, পরিবারকে সুরক্ষিত করতে হবে।

সে কারণে আহ্বান জানিয়েছি- পরিবার নিয়ে একসঙ্গে থাকুন। কিন্তু বাইরের লোকের সঙ্গে মিশবেন না। যেখানে লোক সমাগম সেখানে না যাওয়া, নিজেকে সুরক্ষিত করা এবং নিজেকে সুরক্ষিত করার সঙ্গে সঙ্গে অপরকেও সুরক্ষিত করতে হবে। সেই দায়িত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। আমি জানি এটা অনেকের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এটা করতেই হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৩৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান : অনুষ্ঠানে ৩৩ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে নগদ অর্থ ও পিপিই প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এসব অনুদান গ্রহণ করেন।

আর্থিক অনুদান প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপি (ইটচ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কাশেম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এমএ কাশেম, সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, বাংলাদেশ ফরেইন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, বিসিএস কর অ্যাসোসিয়েশন, ইন্সটিটিউশন্স অব ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইবি), ঢাকা ক্লাব, বিএসআরএম গ্রুপ, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, উত্তরা গ্রুপ, টেক্সকোটেক, হামদর্দ ফাউন্ডেশন, গান বাংলা, শাওমি টেকনোলজিস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড, ইস্পাহানি টি লিমিটেড, সিদ্ধেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স, আইডিইবি, ইইডি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে পিপিই প্রদান করে ওলিলা গ্লাস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং জাহাঙ্গীর আলম সরকার।

এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন। তিনি করোনা পরিস্থিতিতে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ দেন। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর আগেও কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান প্রদান করে।

ভিডিও কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল করে তার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে মঙ্গলবার বিকালে এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সতর্ক, সাবধান, সচেতন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার পরামর্শ দেন।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ কার্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

দলের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান ভিডিও কলে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের যাতায়াত সীমিত পর্যায়ে আছে। প্রয়োজন ছাড়া কার্যালয়ে জমায়েত না করার নির্দেশনা রয়েছে।

এ কারণে দিনের বেলায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি একেবারেই তেমন একটা থাকে না। বিকালের দিকে সীমিত পর্যায়ে কিছু নেতাকর্মী আসেন। কিন্তু আমরা প্রয়োজনে যথারীতি নেত্রীর কার্যালয়ে এসেছি। হঠাৎ দলীয় নেত্রী আমাদের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভাইয়ের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল দেন এবং উপস্থিত সবার সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করার ইচ্ছা পোষণ করেন। এরপর নেত্রী আমাদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সবাইকে সাবধানতা, সতর্ক, সচেতন ও সামজিক দূরত্ব মেনে করোনা মোকাবেলায় চলাফেরা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স : বিভিন্ন জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) এবং আগামী সোমবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন। আগামী সোমবার ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে উল্লেখিত জেলার সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করবে।