[ শেষের পাতা ] 26/02/2021
 
হেলথ টিপস :হার্ট অ্যাটাকের ৭ লক্ষণ
দেহের করোনারি ধমনির মধ্য দিয়ে রক্ত কার্ডিয়াক পেশি পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। যেহেতু হৃৎপিণ্ড একধরনের পেশি, সুতরাং তার কাজের জন্য দরকার হয় অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত। কোনো কারণে করোনারি ধমনিতে ব্লকেজ তৈরি হলে হৃৎপিণ্ডে প্রয়োজনীয় রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। এ সময়ে প্রচণ্ড বুকব্যথার অনুভূতি হয়। এর সাথে বুকে প্রচণ্ড চাপ, বুক দুই পাশ থেকে চেপে আসা ইত্যাদি সমস্যা অনুভূত হয়। কখনো বাম কাঁধ, বাম বাহু থেকে শুরু করে শরীরের বাম দিকের উপরের অংশেও ব্যথা অনুভব হয়। তবে হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকেই দেহ কিছু সতর্কতা সঙ্কেত দিতে শুরু করে। সাতটি লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে বুঝা যায় দেহে হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে। লক্ষণগুলো দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। লক্ষণগুলো হচ্ছে

১. অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক দুর্বলতা : রক্তপ্রবাহ কমে গেলে এবং রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়। রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে চর্বি জমে বাধা সৃষ্টি করলে এবং মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে হৃদরোগের প্রধানতম এ লক্ষণটি দেখা দেয়।

২. ঝিমুনি : দেহে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনিও দেখা দেয়। মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে গেলেও ঝিমুনির সৃষ্টি হয়।

৩. ঠাণ্ডা ঘাম : রক্তপ্রবাহ কমে গেলে দেহে ঘাম ঝরলে স্যাঁতসেঁতে ও ঠাণ্ডাভাব অনুভূত হবে।

৪. বুকব্যথা : বুক, বাহু, পিঠ ও কাঁধে ব্যথা অনুভূত হয়।

৫. শ্বাসকষ্ট : ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ না হওয়ায় শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস ছোট হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা যায়।

৬. ঠাণ্ডা বা ফ্লু : হার্ট অ্যাটাকের শিকার অনেককেই এক মাস আগে থেকে ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লুতে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

৭. বমি, বদহজম, তলপেটে ব্যথা : বমিভাব, বদহজম, বুক ও হৃৎপিণ্ডে জ্বালাপোড়া করা বা তলপেটে ব্যথাও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

এ লক্ষণগুলো দেখা গেলে দ্রুত হৃদরোগের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে হয়তো হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় ধরনের সমস্যা থেকেও রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।