[ পাতা ২ ] 14/03/2022
 
শাহ সুলতান মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৫
শাহ সুলতান মাল্টিপারপাসের চেয়ারম্যান শাহ আলম ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতারের পর র্যাব বলছে, ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চক্রটি ছয় হাজার গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। গ্রেফতারকৃতদের ভাষ্যমতে, আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২০০ কোটি হলেও গ্রাহকদের হিসাবে তার কয়েক গুণ বেশি। গতকাল কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে ২০১০ সালে নরসিংদী সদরের চিনিশপুর ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু করে শাহ সুলতান কো-অপারেটিভ। এর পরিচালনা পর্ষদে থাকা ২০ জনই আগে বিভিন্ন ‘শরিয়াহভিত্তিক’ ব্যাংকে চাকরি করতেন। পরে তারা নিজেদের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে নিজেরা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসার পরিকল্পনা করেন। প্রাথমিকভাবে ২০ জন মিলে প্রত্যেকে ৭ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করে কোম্পানি দাঁড় করান। বছরখানেকের মধ্যে তারা পাঁচ-ছয় হাজার গ্রাহক জুটিয়ে ফেলেন। এরপর তারা শাহ সুলতান টেক্সটাইল, স্বদেশ টেক্সটাইল ও স্বদেশ প্রপার্টিজ নামে আরো তিনটি কোম্পানি খোলেন এবং নরসিংদী জেলার বিভিন্ন থানার জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকায় শাখা অফিস খুলে ব্যবসা শুরু করে। আরো ২০ জনকে তারা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন।

র্যাব জানায়, ২০২১ সালের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় গুটিয়ে নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সবাই গা ঢাকা দিলে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নরসিংদী জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগীরা আইনি সহযোগিতার প্রত্যাশায় নরসিংদী র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। ফলে র্যাব ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাতে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন ভেলানগর এলাকায় গোপন বৈঠক চলাকালীন প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা মো. শাহ আলম এবং তার চার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন শিকদার, কাজী মানে উল্লাহ, মো. সুমন মোল্লাহ, আ. হান্নান মোল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।