[ শেষের পাতা ] 24/03/2022
 
সাড়ে চারশ কোটি টাকা চাঁদাবাজির লক্ষ্য
ঢাকার ফুটপাত ঘিরে সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র। এরা রমজান মাসে সাড়ে চারশ কোটি টাকা আদায়ের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। যারা চাঁদা তোলেন-তাদেরকে লাইনম্যান বলা হয়। এ লাইনম্যানদের মাধ্যমে তোলা চাঁদার টাকা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, দুর্নীতিবাজ কিছু পুলিশ এবং অদৃশ্য গডফাদারদের পকেটে।

সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর ফুটপাতজুড়ে চাঁদাবাজি করে এমন অর্ধশতাধিক গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপে সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাঁদাবাজরা ধরা পড়ে। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই জামিনে বেরিয়ে যায়। আবার শুরু করে চাঁদাবাজি। তারা বলছেন, চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা করা যায় না।

গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকার ফুটপাত দখল করে চলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য। আর এসব ফুটপাতের চাঁদার টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছে সংঘবদ্ধ চক্র। ২০২০ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীতে মোট হকার আছেন তিন লাখ, যাদের গড়ে ১৯২ টাকা করে দৈনিক চাঁদা গুনতে হয়। তবে, যতদিন যাচ্ছে ততই চাঁদার পরিমাণ বাড়ছে।

মঙ্গলবার বিকালে গুলিস্তানে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যস্ততম এই এলাকার ফুটপাতগুলোতে সারি সারি দোকান। আর মানুষ হাঁটছে সড়ক দিয়ে। এতে রাস্তায় যানজট আরও বাড়ছে। ঢাকা ট্রেড সেন্টারের চারপাশ, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনের ফুটপাত, গোলাপশাহ মাজার, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনের ফুটপাতে বসেছে কয়েকশ ভাসমান দোকান। ঢাকা ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ পাশের সড়কেও অর্ধেক দখল করে আছে, জুতা ও কাপড়ের ছোট ছোট দোকান।

জিপিও ভবনের পশ্চিম পাশের সড়ক, জিরো পয়েন্টের দক্ষিণ পাশে খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্স, গোলাপ শাহ মাজারের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত রমনা ভবন ও রেলওয়ে সুপার মার্কেট, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট এলাকার ফুটপাত দখল করে হকাররা বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

ঢাকা ট্রেড সেন্টারের পাশের ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী যুগান্তরকে বলেন, চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করি। পুলিশ ডিস্টার্ব করবে কেন? তিনি বলেন, এরপরও মাঝেমধ্যে পুলিশ অভিযান চালায়। এর আগেই আমরা সরে যাই। আবার পুলিশ চলে গেলে বসে পড়ি।

বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এমএ কাশেম যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীতে নিয়মিত হকার রয়েছেন প্রায় তিন লাখ। আর রোজা ও ঈদ সামনে রেখে মৌসুমি হকার আসে ৫০ হাজারের বেশি। এ সময়টায় চাঁদাবাজদের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। চাঁদাবাজরা বছরের অন্য সময়ে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। আর রোজার শুরু থেকেই তারা সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা আদায় করে। এ ছাড়া মৌসুমি হকারদের বসানোর নামে নেওয়া হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর দৈনিক চাঁদাতো আছেই। তিনি বলেন, গড়ে মৌসুমি হকার বসানোর পজিশন বাবদ চাঁদাবাজরা হাতিয়ে নেয় অন্তত ১০০ কোটি টাকা। সাড়ে ৩ লাখ হকারের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে হলেও চাঁদা উঠলে দিনে তা হয় সাড়ে দশ কোটি টাকা। আর মাসে এ অঙ্ক দাঁড়ায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে তারা মাসে কমপক্ষে সাড়ে ৪শ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। এবারও একই টার্গেট নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।

এমএ কাশেম আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কিছু নেতা এবং পুলিশ এসব চাঁদাবাজদের সহযোগিতা করে। তার মতে, কখনো কখনো এ হিসাবের দ্বিগুণ চাঁদা আদায় হয়। চাঁদাবাজ দমন করে সরকার যদি এ টাকা নিত, তবে বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চাঁদাবাজিতে নেমেছে। দুই সিটি করপোরেশন যদি প্রকৃত হকারদের কাছে ফুটপাত ইজারা দিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে এমন গডফাদার গুলিস্তানে চার, সদরঘাটে তিন, নিউমার্কেটে তিন, মতিঝিলে তিন, ফার্মগেটে তিন, মিরপুর-১ নম্বরে দুই, ১০ নম্বরে দুই, উত্তরায় দুই, বাড্ডায় দুই, কুড়িলে দুজন রয়েছেন।

নিউমার্কেট এলাকার এক ব্যবসায়ী যুগান্তরকে বলেন, এ এলাকায় বেশ কয়েকজন রয়েছেন-যাদের নাম বললে, এলাকায় ব্যবসা করা তো দূরের কথা, এক্কেবারে গুম করে দেবে। এদের চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা করা যায় না। এরা ছাড়াও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কিছু ক্যাডার চাঁদা তোলে। এদের উৎপাত সারা বছরই সইতে হয়। আর রোজা ও ঈদ মৌসুমে এ উৎপাত আরও বেড়ে যায়।

গুলিস্তান খদ্দের মার্কেট এলাকার এক হকার যুগান্তরকে বলেন, আমরা সবাই চাঁদা দিয়েই ব্যবসা করি। যদি আজকে আমাদের নাম লেখেন, কাল চাঁদাবাজরা ব্যবসা করতে দেবে না। পিটাইয়া এলাকাছাড়া করবে। এসব লিখে আমাদের রুটি-রুজি নষ্ট করবেন না। গুলিস্তান হকার্স, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, খিলগাঁও তালতলা, মিরপুর শাহ আলী, ১ নম্বর, গুলশান-১ ও ২, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার, মুক্তবাংলা, উত্তরা ও পুরান ঢাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও একই রকম তথ্য দেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম জিপিও লিংক রোডে হলিডে মার্কেটে খোকন মজুমদার, বায়তুল মোকাররম স্বর্ণ মার্কেটের পশ্চিম পাশের উত্তর মাথায় চাটগাঁইয়া হারুন ও খোকন মজুমদার, দক্ষিণ মাথায় রজ্জব পোটন ও নজরুল ইসলাম নসু চাঁদা তোলেন। এদের সহযোগিতা করে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতা। জিপিওর দক্ষিণ পাশে বুড়া সালাম, সোনালী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখার সামনে হতে উদয়ন মার্কেটের গলি পর্যন্ত জুয়াড়ি সালাম, আব্দুর রহিম ও কালাম। বাসসের সামনের ফুটপাতে চাঁদা আদায় করে আব্দুল হাসেম কবির।

বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেট এলাকায় দুম্বা রহিম ও সাজু চাঁদা তোলে। শাপলা চত্বরে আরিফ; পল্টনে দুলাল ও তার সহযোগী; গুলিস্তানে আহাদ পুলিশ বক্স ও সামনের রাস্তায় আমিন, সাহিদ ও লম্বা হারুন; জুতাপট্টিতে সালেহ; গোলাপ শাহ মাজারের পূর্ব-দক্ষিণ অংশে ঘাউড়া বাবুল ও শাহীন টাকা তোলে।

এ ছাড়া ওসমানী উদ্যানের পূর্ব ও উত্তর অংশে লম্বা শাজাহান; বেল্টের গলি থেকে রাজধানী হোটেল পর্যন্ত চাঁদা তুলে কালা নবী। গুলিস্তান খদ্দর মার্কেটের পশ্চিমে কাদের ও উত্তরে হান্নান, পূর্বে সালাম, বেল্টের গলি হতে আওয়ামী অফিসের পূর্ব দক্ষিণপাড়ের ফুটপাতে আক্তার, জাহাঙ্গীর ও মিজান। এদেরসহ ৮ লাইনম্যানকে সহযোগিতা করে ২০নং ওয়ার্ড যুবলীগের এক সাবেক সহসভাপতি।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে রমনা ভবনের দক্ষিণ কোণ পর্যন্ত টাকা তোলে লিপু। রমনা ভবনের সামনের ফুটপাতে আগে চাঁদা তুলত মনির, তিনি মারা যাওয়ার পর এখন চাঁদা তুলছেন আলী। তিনি ভাসানী স্টেডিয়াম এলাকায়ও টাকা তোলেন। আল মনসুর মার্কেটের সামনে থেকে ঢাকা ট্রেড সেন্টার পর্যন্ত বিমল, হান্নান ও মিন্টু; ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ পাশ এবং সুন্দরবন স্কয়ারের উত্তর পাশের লিংক রোডে সালেহ, বাবুল, ভোলা ও কানা সিরাজ; গুলিস্তান আহাদ বক্সের সামনে থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত হারুনের শ্যালক দেইল্যা চাঁদা তোলে।

আহাদ বক্স থেকে মহানগর নাট্যমঞ্চের পার্কের উত্তর পাশ পর্যন্ত টাকা তোলে লম্বা হারুন। কাপ্তান বাজারে জয়নাল, বিএনপির হান্নান শেখ। গোলাপশাহ মসজিদের সামনে সিরাজের শ্যালক আমির, পুলিশ সদর দপ্তরের উত্তর পাশে চাঁদা তোলে হিন্দু শাহিন। গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনের রাস্তায় লাইনম্যান সর্দার বাবুল; সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের উত্তর পাশের রাস্তায় জজ মিয়া, পূর্ব পাশের রাস্তায় সেলিম মিয়া; মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে মো. আলী, আবদুল গফুর ও বাবুল ভূঁইয়া; শাহবাগে ফজর আলী, আকাশ, কালাম ও নুর ইসলাম; যাত্রাবাড়ীতে সোনামিয়া, তোরাব আলী ও মান্নান টাকা তোলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। জুরাইন-পোস্তগোলায় খায়রুল, সিরাজ তালুকদার ও গরু হানিফ; লালবাগে আবদুস সামাদ, চানমিয়া ও ফিরোজ; মিরপুর-১-এ ছোট জুয়েল, আলী, বাদশা ও মিজান; মিরপুর-১১-এ আবদুল ওয়াদুদ, শফিক ও হানিফ; গুলশানে হাকিম আলী; কুড়িলে আবদুর রহীম ও নুরুল আমিন; এয়ারপোর্টে আকতার, মনির, ইব্রাহিম, জামাল ও বাবুল; উত্তরায় টিপু, নাসির ও হামিদ চাঁদা তোলে।

যুগান্তর থেকে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বুধবার দুলাল, আব্দুল হাশেম কবির, সরদার বাবুল, সাইফুল মোল্লাহ, চাটগাঁইয়া হারুন, তাজু, গাঁজ্জুট্টি হারুনের নম্বরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ট্রু-কলারে তাদের প্রত্যেকের নামের সঙ্গে লাইনম্যান যুক্ত থাকতে দেখা গেছে।

যোগাযোগ করা হলে চাটগাঁইয়া হারুন যুগান্তরকে বলেন, আমি চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত না। তবে আপনার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেন-এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। লাইনম্যান দুলাল বারবার ফোন কেটে দেন। আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে লাইনম্যান আব্দুল হাশেম কবির যুগান্তরকে বলেন, পল্টন এলাকায় আরেক কবির আছে, সে হতে পারে। আমি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নই। রমজান উপলক্ষ্যে চাঁদা বাড়ানোর টার্গেটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি মূলত প্যান্টের দোকানদার। আমি এসব বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের ফুটপাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সরকারদলীয় নেতারা এসবের নিয়ন্ত্রণ করে। যে টাকা চাঁদা তোলা হয়, তার অধিকাংশই তাদের পকেটে যায়। তিনি বলেন, কিছু কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যও তাদের সঙ্গে ভাগ বসায়। মাঝেমধ্যে পুলিশ অভিযান চালালেও ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটা ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলে। অভিযান শেষ হলেই নানাভাবে তদবির এবং প্রভাব খাটিয়ে আবার ফুটপাতে হকার বসানো হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, ফুটপাতে চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে। তিনি বলেন, ফুটপাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও রয়েছে। তবে সেগুলো একটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে। আমাদের দেশে যদি সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ডিএমপি সম্মিলিতভাবে ফুটপাতকে একটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসে তবেই ফুটপাতে চাঁদাবাজি থাকবে না। তিনি বলেন, ফুটপাতে চাঁদাবাজি হলেও সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করে না। অভিযোগ পেলে সবসময় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চাঁদাবাজিতে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ততা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদ আহাম্মদ যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান মেয়র যোগদানের পর থেকে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত রাখার। কিন্তু প্রায় দেড় লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছে, যারা বিভিন্ন ফুটপাতে ব্যবসা করে। এদের একেকজনের আয়ে একেকটা পরিবার চলে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের একসঙ্গে উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত হকারদের পুনর্বাসনেরও একটা পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসিয়ালি আমাদের কাছে চাঁদাবাজির কোনো তথ্য নেই। কেউ কেউ চাঁদাবাজির বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, চাঁদাবাজিতে কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত থাকতে পারে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক যুগান্তরকে বলেন, হকার উচ্ছেদে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট চলে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলব না। আর কোনো তথ্য চাইলে অফিসে লিখিত দরখাস্ত দেন। আমরা তখন তথ্য দেব।