[ বাংলাদেশ ] 13/05/2022
 
প্রতারণার নতুন ফাঁদ ই-টিকিট জালিয়াতি
প্রতারকরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফাঁদ পেতে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ধারবাহিকাতায় এবার ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বিমানের ই-টিকেট বিক্রি ও রিফান্ড করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেত একটি প্রতারক চক্র। পরে ওই যাত্রী ফ্লাইটের তারিখে বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারতেন তার টিকেট বাতিল হয়েছে। তখন চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার থাকতো না। এয়ারলাইন্সের টিকেটের নামে অহঃরহ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতানো এই চক্রটির মূল টার্গেট ছিল সামনের হজ মৌসুম। ততে ইতোমধ্যে এ চক্রের মূলহোতা মাহবুবুর রশিদ নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গত বুধবার রাজধানী গ্রিনরোড থেকে মাহবুবুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন এয়ালাইন্সের ৮১টি টিকেট উদ্ধার করা হয়, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন, দুইটি কম্পিউটার, একটি প্রেস লেখা জিপ গাড়ি, ১২টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, একটি ডাচ-বাংলা এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব জানিয়েছেন, বিমানের টিকেট আগাম বিক্রি করে নির্দিষ্ট ফি জমা নেয়ার পরে যাত্রীদেরকে ই-টিকেটের পূর্ণ ভ্রমণ বৃত্তান্ত দেয়া হতো। পরে ই-টিকেট বুকিংয়ের টাকা রিফান্ড করে তুলে নেয়া হতো। এমতাবস্থায় ফ্লাইটের দিন যাত্রীরা বিমানবন্দরে গিয়ে টিকেট বাতিল ও পেমেন্টকৃত টাকা রিফান্ড করে তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানতে পারতেন। পরবর্তীতে যাত্রীরা ওই ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করলে আবার ৫০ হাজার অথবা এক লাখ টাকা ফি নিয়ে একই রকম টিকেট দিতো। এভাবে একটা পর্যায়ে টিকেট এজেন্সির লোকেরা মোবাইল বন্ধ করে অফিস বদল করে লাপাত্তা হয়ে যেতো।