[ প্রথম পাতা ] 09/06/2022
 
বিশ্বকাপ ট্রফি এখন ঢাকায় আজ দেখতে পারবেন দর্শকরা
ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির আগমনকে ঘিরে সকাল থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ছিল সাজ সাজ রব। উৎসবের রং লেগেছিল বিমানবন্দর সড়ক ঘিরে। প্রতীক্ষার অবসান হলো অবশেষে।

২০১৩ সালের পর ঢাকায় এসেছে বিশ্বকাপের আসল ট্রফি। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আসল ট্রফি এটি। বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও অন্যতম সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ছাড়াও বাফুফে কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে ট্রফিটি গ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ধরে রাখতে ছবিও তুলেছেন কর্মকর্তারা।

২০১৩ সালের পর আবারও সোনালি ট্রফি দেখার

সুযোগ পাচ্ছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। সাধারণত প্রতি বিশ্বকাপের আগে এই ট্রফি বিভিন্ন দেশ প্রদক্ষিণ করে। তারই অংশ হিসেবে এবার ৫১টি দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আকর্ষণীয় ট্রফিটি এবার পাকিস্তান ঘুরে চার্টার্ড বিমানে করে বুধবার ঢাকায় অবতরণ করেছে। খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ৬.১৪২ কেজি ওজনের ট্রফিটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘুরে আজ আর্মি স্টেডিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে।

বিশ্বকাপের স্পন্সর কোকা-কোলার সৌজন্যে ট্রফির সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন ফিফার সাত কর্মকর্তাও। এছাড়া ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ক্রিস্তিয়ান কারেম্বুও এসেছেন। ৫১ বছর বয়সি এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলা ছেড়েছেন অনেক আগে। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে তিনি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। ১৯৯২ থেকে ওই বিশ্বকাপেই শেষবার ফ্রান্সের জার্সিতে নামা কারেম্বুর ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। নীল জার্সিতে ৫৩ ম্যাচে করেছেন ১ গোল।

বুধবার বিকালেই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গভবনে। সন্ধ্যায় নেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে। আর্মি স্টেডিয়ামে জনসাধারণের জন্য সেটি উন্মুক্ত থাকবে আজ। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দরের বাইরে এসে সংবাদ মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, এই ট্রফি দেশের কোচ ও খেলোয়াড়দের ভালো খেলতে উজ্জীবিত করবে, 'একজন সংগঠক হিসেবে কষ্ট করে ট্রফিটি নিয়ে আসা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তো খেলতে পারব না, খেলবে কোচ ও খেলোয়াড়রা। এটা যেন খেলোয়াড়, কোচ ও ক্লাবদের উজ্জীবিত করে।'

বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি ক্রীড়াপ্রেমীদের প্রবল আগ্রহ। তবে সোনালি ট্রফিটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে না। কেন সেটি সম্ভব হচ্ছে না তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সালাউদ্দিন, 'বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ট্রফিটি আনা হয়েছে। কিন্তু আমরা জায়গা দিতে পারছি না। হাজার হাজার লোক দেখতে চাইছে। ফিফারও কিছু প্রটোকল আছে।'

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা প্রসঙ্গও এসেছে এদিন। ভিড়ের মধ্যে ভিআইপি গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে সালাউদ্দিন উত্তর দিয়েছেন এভাবে, 'এটা কেউ বলতে পারবে না। এটা খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে। আমরা চেষ্টা করতে পারি শুধু, কাজ করতে পারি। এটা নতুন ও পুরানো খেলোয়াড়দের কাজ। এজন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করতে পারি।'

এ সময় ফিফা মিডিয়া প্রতিনিধি সারা বলেছেন, 'সবাইকে ধন্যবাদ উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য। আমরা জানি, বাংলাদেশ ফুটবল পাগল দেশ। আমরা আবারও আসতে পেরে খুশি। এটা বিশেষ কিছু আমাদের জন্য। আশা করছি, এখানে সবাই ট্রফিটি উপভোগ করবে।'