২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় বেশির ভাগ সূচকে উন্নতি করেছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির আমানত ২৩ শতাংশ বেড়ে এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ২০ গুণ। পরিচালন মুনাফা বেড়ে এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আর নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। গত বছর এ মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি টাকা। বিনিয়োগ খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশের বেশি।
গতকাল রবিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ।
এজিএমে আরো উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকের পরিচালক অজিত কুমার পাল। ব্যাংকের পরিচালকসহ সিএফও মো. নুরুল আলম, কম্পানি সচিব এম এইচ এম জাহাঙ্গীরসহ মহাব্যবস্থাপকরাও এজিএমে উপস্থিত ছিলেন।
এজিএম শুরুর আগে ব্যাংকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্যাংক ভবনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৯৭২ সালের ২৪ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে লিখে জনতা ব্যাংকের নামকরণ করেন।
অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জনতা ব্যাংক একসময় উল্টো দিকে হেঁটেছে। কিন্তু গত তিন বছরে ব্যাংকের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। এই কৃতিত্ব আমরা নিতে চাই না। এ জন্য আমি ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দেব। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় এই উন্নতি ঘটেছে। ’
বড় ঋণে না গিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, দেশে সম্প্রতি ড্রাগন চাষ শুরু হয়েছে। এই খাতে ঋণ বিতরণ পেলে খাতটি আরো বড় হবে।
মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ জানান, আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ২৩.৩৩ শতাংশ বেড়ে এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাংকের ইপিএস ২০২০ সালে ছিল ৬৪ পয়সা, ২০২১ সালে তা ২০ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টাকা ৯৮ পয়সা। ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ১৫.৫৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে বিগত বছরের চেয়ে পরিচালন মুনাফা ২২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এবার এক হাজার দুই কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৩০০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অথচ গত বছর এ মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে বিতরণ করা ঋণ দুই হাজার ৬৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা এবং এসএমই খাতে ঋণ ১১ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।