[ শেষের পাতা ] 06/08/2022
 
ভুয়া মেডিক্যাল ভিসা দিয়ে ৫ বছরে ৩ কোটি টাকা হাতিয়েছে প্রতারক
ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক এমন গ্রাহকদের ভুয়া ভিসা তৈরির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক ফরহাদ। ভুয়া ট্র্যাভেল এজেন্সির পরিচয়ে সরকারি চিকিৎসক ও বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং নোটারি পাবলিকের অবৈধ সিল, প্যাড ব্যবহার করে ভুয়া ভিসা তৈরি করত সে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক ফরহাদ হোসেন অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফরহাদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
র‌্যাব জানায়, তার টার্গেট ছিল অসহায়, অসুস্থ, দরিদ্র শ্রেণীর রোগীরা। ভাটারার তাজুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে মনিটর, সিপিইউ, স্ক্যানার, তিনটি পাসপোর্ট, ১২টি সরকারি ডাক্তারদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিল, দু’টি প্যাড, বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালের ভুয়া রিপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, একটি রেজিস্টার, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী সঙ্ঘবদ্ধ চক্র ভুয়া ট্র্যাভেল এজেন্সির পরিচয়ে সরকারি ডাক্তার ও বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং নোটারি পাবলিকের অবৈধ সিল, প্যাড ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশের ভুয়া ভিসা তৈরি করে অসহায়, অসুস্থ, দরিদ্র শ্রেণীর রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ জানিয়েছে, সে গত ৫-৬ বছর ধরে চিকিৎসা ভিসায় যারা ভারতে যাওয়ার জন্য বৈধ উপায়ে ভিসা করতে পারেন না তাদের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের সিল, প্যাড ব্যবহার করে ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ভিসাপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

এ ছাড়াও সে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সিল ব্যবহার করে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ডলার এনডোর্স এবং নোটারি পাবলিকের সিল ব্যবহার করে অবৈধভাবে এনওসি তৈরি করে। এসব কার্যক্রম সে বাসায় নিজস্ব কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রস্তুত করত। ভিসা তৈরিসহ সব অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩-৬ হাজার টাকা আদায় করত সে। ভুয়া ভিসা তৈরি করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সে