[ পাতা ৪ ] 30/08/2022
 
লাইফ ফান্ডের অর্থ ব্যাংকে জামানত রেখে ঋণ সহায়তা নয়
লাইফ ফান্ডের অর্থ ব্যাংকে জামানত রেখে অন্যকে ঋণ সহায়তার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন থেকে লাইফ ফান্ডে বিমাকারীর অর্থ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লিয়েন বা জামানত রেখে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ গ্রহণে সহায়তা করা যাবে না। লাইফ ফান্ডের অর্থ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লিয়েন বা জামানত রাখা এবং ঋণ দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এই নির্দেশনা না মানা হলে বিমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সার্কুলারের মাধ্যমে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কতিপয় লাইফ বিমাকারী তাদের লাইফ ফান্ড থেকে বিনিয়োগকারীর স্থায়ী আমানত কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লিয়েন রেখে অথবা জামানতদার হয়ে ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পেতে সহায়তা করছে। ঋণগ্রহীতা কর্তৃক উক্ত ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিমাকারীর লিয়েন কর্তৃক অর্থ নগদায়নের মাধ্যমে বিমা গ্রহীতাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়া বিমাকারীর লাইফ ফান্ডের অর্থ দিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া বিমা গ্রহীতাদের অর্থ স্থানান্তর বা আত্মসাতের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।’

সার্কুলারে বিমা আইনের ধারা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘বিমা আইন, ২০১০ এর ২১ ধারা ও সংশ্লিষ্ট বিধান মোতাবেক নির্দিষ্ট অঙ্কের মূলধন নিয়ে বিমা কোম্পানি গঠিত হয়। মূলধন ছাড়া অবশিষ্ট সব অর্থ বিমা গ্রাহকদের প্রিমিয়াম আয় থেকে উদ্ভূত হয়। গ্রাহকদের প্রিমিয়াম আয় দিয়েই ভবিষ্যতে বিমা গ্রাহকদের বিমা দাবি পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া বিমাকারীর সম্পদ যথাযথ প্রক্রিয়ায় দায়মূল্যায়ন শেষে উদ্বৃত্ত অর্থ বিমা গ্রহীতাদের মধ্যে বণ্টনের পর অবশিষ্ট অংশ লভ্যংশ হিসেবে কোম্পানির শেয়ার হোল্ডাররা প্রাপ্য হবেন।’

সার্কুলারে এ বিষয়ে দণ্ডের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ‘বিমা গ্রহীতাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগযোগ তহবিলের (লাইফ ফান্ডসহ) সম্পূর্ণ অর্থ লাইফ বিমাকারীর সম্পদ বিনিয়োগ প্রবিধানমালা, ২০১৯ অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। লাইফ ফান্ডের অর্থ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লিয়েন বা জামানত রাখা এবং ঋণ দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।’ এ পরিস্থিতিতে, কোম্পানির লাইফ ফান্ডের অর্থ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লিয়েন বা জামানত রেখে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ পেতে সহায়তা করা এবং কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লাইফ ফান্ডের অর্থ দিয়ে ঋণ প্রদান না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে আইডিআরএ’র সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ নির্দেশনা পালনের জোর তাগিদ দিয়ে সার্কুলারে হুঁশিয়ারি করা হয়েছে, বিমা খাতে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য এ নির্দেশনা কঠোরভাবে পরিপালনের নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় বিমা আইন, ২০১০ অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।