[ অনলাইন ] 16/04/2024
 
গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক
অতিরিক্ত মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী। এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন বর্তমানে ওই ব্যাংকের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ এপ্রিল বিকেল ৩টার পরে শ্রীকান্ত নন্দী ব্যাংক থেকে নিখোঁজ হন। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা গেছে, নিখোঁজ ব্যাংক ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী (৪০) জেলার কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহক স্থানীয় ব্যবসায়ী আকবর হোসেন লিটন বলেন, ‘ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী গত ১৪ জানুয়ারি এই শাখায় জয়েন করেন। এরপর থেকেই তার সঙ্গে পরিচয়। ঈদের আগে তিনি আমার কাছ থেকে টাকা ধার চান। কয়েক দিনের মধ্যে দিয়ে দেবে বলে জানিয়েছিলেন। আমি সরল বিশ্বাসে তাকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দেই। কিন্তু তিনি টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে চলে যান। কিভাবে কী করল, তা বুঝে উঠতে পারিনি। এই ঘটনায় আমি ১৩ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি জিডি করি।’

আরেক গ্রাহক কচুয়া উপজেলার আশ্রাফুর এলাকার দলিল লেখক মারুফ। অধিক মুনাফা দেবে বলে তার কাছ থেকে ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী নেন ৭৫ লাখ টাকা। মারুফের আত্মীয় একই ব্যাংকের গ্রাহক নাছির উদ্দিন খান বলেন, ‘তিনি অধিক মুনাফা দেবে বলে আমার আত্মীয় মারুফের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নেন। টাকা না দেওয়াতে ঈদের আগে তার সঙ্গে দুই বার বৈঠকে বসা হয়েছে। ঈদের পরে টাকা ফেরত দিবে বলে এখন তিনি নিখোঁজ।’

এ বিষয়ে বর্তমানে দায়িত্বরত ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে আমাকে এই শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজকেই এই শাখায় যোগদান করেছি। শ্রীকান্ত নন্দীর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে অনেক খোঁজখুঁজি করে না পেয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে এবং থানায় জিডি করা হয়েছে। ঘটনটি তদন্ত চলছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ গ্রাহকদের লেনদেনে কোনো সমস্যা নেই।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল বলেন, ‘ঈদের আগে ৯ এপ্রিল পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হুমায়ুন কবির ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সে ডায়েরির আলোকে আমাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। লেনদেনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’