[ অনলাইন ] 16/04/2024
 
গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে নিখোঁজ ম্যানেজার
ধার এবং অতিরিক্ত মুনাফা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দুই গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার শাখার ম্যানেজার শ্রীকান্ত নন্দীর বিরুদ্ধে। তাঁর খোঁজে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার চাঁদপুর সদর থানায় জিডি করেছেন। এ ছাড়া প্রতারণার অভিযোগে একই থানায় শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন এক ব্যবসায়ী।

শ্রীকান্ত জেলার কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহক স্থানীয় ব্যবসায়ী আকবর হোসেন লিটন জানান, শ্রীকান্ত নন্দী গত ১৪ জানুয়ারি পূবালী ব্যাংকের এ শাখার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে পরিচয়। ঈদের আগে শ্রীকান্ত তাঁর কাছে টাকা ধার চান এবং কয়েক দিনের মধ্যে দিয়ে দেবেন বলে জানান। তিনি সরল বিশ্বাসে শ্রীকান্তকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ধার দেন। কিন্তু শ্রীকান্ত সেই টাকা নিয়ে আর ব্যাংকে আসেননি। এ ঘটনায় তিনি ১৩ এপ্রিল চাঁদপুর সদর থানায় জিডি করেছেন।

আরেক গ্রাহক কচুয়া উপজেলার আশ্রাফুর এলাকার দলিল লেখক মো. মারুফ। তাঁর দাবি, অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ব্যাংক ম্যানেজার শ্রীকান্ত তাঁর কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নেন। টাকা দেওয়া নিয়ে ঈদের আগে তাঁর সঙ্গে দু’বার বৈঠকও হয়েছে। ঈদের পরে টাকা ফেরত দেবেন বললেও এখন শ্রীকান্ত নন্দীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে শ্রীকান্ত নন্দী ৪ এপ্রিল দুপুর ৩টার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে চাঁদপুর সদর থানায় জিডি করেছেন ব্যাংকের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার হুমায়ুন কবির। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, শ্রীকান্ত নন্দীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে আমাকে এই শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজই এই শাখায় যোগদান করেছি। শ্রীকান্ত নন্দীর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং থানায় জিডি করেছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ গ্রাহকদের লেনদেনে কোনো সমস্যা নেই।’

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. নজরুল বলেন, আমাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজার শ্রীকান্ত নন্দীকে আমরা খুঁজছি। লেনদেনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।