[ অনলাইন ] 17/04/2024
 
লেগুনায় ঘুরে ঘুরে ছিনতাই, টার্গেট রাতের যাত্রী
রাজধানীর রূপনগর থেকে ইব্রাহীম ও আলাউদ্দিন নামের সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার গভীররাতে রূপনগরের ইস্টার্ন হাইজিং এলাকা থেকে ধাওয়া করে শাহআলী থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি লেগুনা (ঢাকা ছ ১১-০৭১১) ও একটি সুইচ গিয়ার চাকু এবং লাঠি জব্দ করা হয়। তবে পালিয়ে যায় এই চক্রের মূলহোতা মো. রাসেল নামের এক ছিনতাইকারী।

এদিকে, এ ঘটনায় লেগুনার ভুক্তভোগী যাত্রী ইমন হোসেন আজ মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে রূপনগর থানায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তাররা মধ্যরাত থেকে ঢাকা জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লেগুনায় ভাড়ায় যাত্রী উঠান। রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড, জেনেভা ক্যাম্প, বসিলাসহ আশপাশের এলাকায় এদের বিচরণ বেশি। লেগুনায় যাত্রী ওঠার পর নির্জন স্থান দেখে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী যাত্রীর সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। টাকা দিতে কেউ রাজি না হলে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন ছিনতাইকারীরা। এই চক্রের সদস্যরা চুরি-ছিনতাই ছাড়াও নানা অপরাধে জড়িত। তারা দিনে-দুপুরে গাড়ি থেকে মোবাইল টান দিয়েও নিয়ে যায়। চক্রের সদস্যরা পৃথক দলে ভাগ হয়ে ছিনতাই করত। দীর্ঘদিন ধরে কিছু বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে তারা এই কাজ করত। বিশেষ করে রাতের বেলা চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। দিনের বেলা বড়ভাইদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে ফের তারা এই কাজে নামেন বলে তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া ছিনতাইয়ের কাজের জন্য মাসিক ভিত্তিতে লেগুনাও ভাড়া করেছিল তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাফিদুল ইসলাম চৌধুরী আমাদের সময়কে জানান, ওই ছিনতাইয়ের ঘটনায় চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং একটি লেগুনা, চাকু ও লাঠি জব্দ করা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।