[ অনলাইন ] 18/04/2024
 
জালালাবাদে কম্প্রেসর স্থাপন স্থগিত শেভরনের
দেশের সবেচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহকারী শেভরনকে ছয় মাস ধরে বিল দিতে পারছে না পেট্রোবাংলা। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটিতে বকেয়া প্রায় ২২ কোটি ডলার। পাওনা না পেয়ে শেভরন জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে কম্প্রেসর স্থাপনের কাজ স্থগিত করেছে। বিষয়টি পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনেক টাকা পাওনা জমেছে। সময় মতো টাকা না পাওয়ায় আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে কম্প্রেসর স্থাপনের কাজটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, পেট্রোবাংলা শেভরনের চিঠির বিষয়টি জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছে।

শেভরন ও পেট্রোবাংলার মধ্যে স্বাক্ষরিত উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) ১৪.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ক্রেতা যদি বিল না দেয়, তাহলে বিক্রেতা গ্যাস সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে না।

এর আগে গত বছরের মে মাসে বকেয়া বিলের বিপরীতে ২৪ লাখ ১২ হাজার ডলার জরিমানা দাবি করেছিল শেভরন। জানা গেছে, জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে কম্প্রেসর স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয় শেভরন। এ খাতে ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

দেশে উৎপাদিত মোট গ্যাসের ৬৩ শতাংশ সরবরাহ করে শেভরন। প্রতিষ্ঠানটির হাতে রয়েছে বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র। তিন ক্ষেত্র থেকে দিনে উৎপাদন করা হয় ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপ থেকে দৈনিক ১৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।

বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দিনে প্রায় ৪২০ কোটি ঘনফুট। গড়ে সরবরাহ করা হয় ৩০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে পাওয়া যায় ৯৯ কোটি ঘনফুট।