[ অনলাইন ] 24/04/2024
 
চাকরি হারালেন শিক্ষক নেতা কাওছার আলী
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ আন্দোলনের নেতা ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক কাওছার আলী শেখ চাকরি খুইয়েছেন। তাঁকে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্তের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আজাদ হোসেন চৌধুরীর সই করা চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কাওছার আলী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদকও।

কাওছার আলীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি নানা অভিযোগ তোলে। অভিযোগগুলো হলো– এমপিওভুক্ত করার নামে এক নারীর কাছে দাবি করা ৬ লাখ টাকার মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং ফার্মের অডিটে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনে ব্যর্থতা।

এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কাওছার আলীর প্রতিষ্ঠানের আয়ের খাতে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭ হাজার ৪৮৯ টাকা ও ব্যয়ের খাতে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ টাকার অসংগতি পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে জাল সনদ ও খাতা টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে নিজ আত্মীয় হোসেন শেখকে নিয়োগও দেন তিনি।

তাছাড়া নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে অসহযোগিতা, বিদ্যালয়ে সময় না দিয়ে ব্যবসায় ও শিক্ষক রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিধিবহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদবি ব্যবহার এবং রেজুলেশনের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজ জিম্মায় রাখার অভিযোগ রয়েছে কাওছারের বিরুদ্ধে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে কাওছার আলীকে চূড়ান্ত বরখাস্তের সুপারিশ আসে। গত ৪ এপ্রিল ২৩০তম বোর্ড সভায় তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।  

চাকরি হারানো কাওছার আলী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমকালকে বলেন, ‘শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করায় আমাকে ষড়যন্ত্র করে চাকরিচ্যুত করা হলো। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ২০২১ সাল পর্যন্ত সব কিছু অডিট করা। সেসব কিছুই আমলে নেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।’