[ অনলাইন ] 25/04/2024
 
গ্যাস সংকটে বন্ধ এক ইউনিট, আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত
গ্যাস সংকটে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ২০০ মেগাওয়াটের একটি মডিউলার প্লান্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ হাজার ৭৭৮ মেগাওয়াট সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮-এ।

জানা গেছে, বেসরকারি যৌথ মালিকানাধীন একটিসহ বর্তমানে এপিএসসিএল ছয়টি ইউনিট থেকে ১ হাজার ৭৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। পূর্ণ শক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২৫৫ এমএমসিএফটি গ্যাস প্রয়োজন। বর্তমানে ১৭০ থেকে ১৮০ এমএমসিএফটি গ্যাস মিলছে। সংকটের কারণে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে বেসরকারি অংশীদারিত্বের আওতায় নির্মিত ২০০ মেগাওয়াটের মডিউলার প্লান্টটি।

বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল (সাউথ) প্লান্ট থেকে ২৮৫-৩০০, ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল (নর্থ) প্লান্ট থেকে ৩০০, ৪০০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (ইস্ট) থেকে ২৬০, ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট থেকে ১৮৮ ও ৫৩ মেগাওয়াটের একটি গ্যাস ইঞ্জিন থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এপিএসসিএলের নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন ও সংরক্ষণ) প্রকৌশলী আবদুল মজিদ বলেন, ‘গ্যাস সংকটে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলোও পূর্ণ শক্তিতে উৎপাদন করতে পারছে না। গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে উৎপাদনও বাড়ানো হবে।’

জানতে চাইলে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) ডিজিএম (সঞ্চালন) প্রকৌশলী জাহিদুর রেজা বলেন, ‘সার কারখানা বন্ধ থাকায় এখন ২১০ থেকে ২১৫ এমএমসিএফটি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এখান থেকে বেসরকারি ছাড়াও নোয়াখালী ও চাঁদপুর অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত ১৯০ এমএমসিএফটি গ্যাস পাচ্ছে না এপিএসসিএল। তবে অধিক গ্যাস পাওয়া গেলে তা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দেওয়া হবে।’