[ অনলাইন ] 25/04/2024
 
অর্থ আত্মসাৎ: সাইমেক্স লেদারের এমডি ও তার স্ত্রী কারাগারে

ভুয়া এলসি খোলার মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংকের ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টিএস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তানিয়া রহমানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আসামিদের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যা আজ বুধবার জানা গেছে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ২১ মার্চ টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিসাট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। সিএমএম আদালতের ওই জামিন আদেশ বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন। রিভিশন মামলার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আসামিরা মহাগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রাপ্ত হন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমান ঢাকা ব্যাংকের ধানমন্ডি মডেল শাখায় একটি হিসাব খুলে ৩ জন বিদেশী বায়ারের নামে ১৯টি এলসি দাখিল করেন। এরপর অপর আসামিদের যোগসাজসে ভুয়া বিল অব এক্সর্পোট, বিল অব লেডিংসহ পণ্য শিপমেন্ট রেকর্ডপত্র তৈরি করে ৫৭ লাখ ৪৪ হাজার ২৫ ডলারের ২৬টি এক্সর্পোট বিল ২০১৭ সালের ৫ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটিতে দাখিল করেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা সঠিকভাবে যাচাই না করেই ১৭টি বিল ক্রয়ের অনুমতি দিয়ে টিএস আইয়ুব ও তানিয়া রহমানের হিসেবে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা ট্রান্সফার করেন। ওই ১৭টি বিলের মধ্যে ৪টি বাবদ ৫ কোটি ৬১ লাখ ৬ হাজার ৭০৮ টাকা ৫০ পয়সা ব্যাংকে জমা হলেও ১৪টি বিলের ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ টাকা ৫০ পয়সা আসামিরা যোগসাজসে আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাইমেক্স লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টিএস আইয়ুব) ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তানিয়া রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো: ইকবাল হোসেন।

টিএস আইয়ুব বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। যশোর-৪ আসনে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।