[ অনলাইন ] 25/04/2024
 
ডলার বাড়ছে, তবু সংকট কমছে না
রেদওয়ানুল হক :

কাগজকলমে ডলার সংকট কেটে যাওয়ার আভাস দেওয়া হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকরা এখনও ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছেন না। এমনকি অবস্থার উন্নতি দেখছেন না কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রাধিকার পাওয়া খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরাও। এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো ডলারের বাজারে বিরাজমান অস্থিরতা কমাতে পারেনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যাংকগুলোতে ডলারের মজুদ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এখনও কেন সহজে এলসি খোলা যাচ্ছে না? সত্যিকার অর্থেই কী ডলার হোল্ডিং বেড়েছে, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কৌশলের ব্যাপার রয়েছে। মজুদ বেড়ে গিয়ে থাকলে ওই ডলার নিয়ে কী করছে ব্যাংকগুলো?

জানা গেছে, ডলারের যে পরিমাণ মজুদ দেখানো হচ্ছে বাস্তবে তা নেই। এক্ষেত্রে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া ডলার দিয়ে নগদ টাকার ব্যবসায়ও নেমেছে অনেক ব্যাংক। এলসি বন্ধ রেখে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে সোয়াপ (মুদ্রা অদলবদল) করে টাকা নিয়ে তা উচ্চ সুদে বন্ডে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে রিজার্ভের পতন ঠেকাতে সোয়াপ পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে ডলার সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও তা ব্যবসায়ীদের কোনো কাজে আসছে না। আমদানিকারকরা উচ্চ দরে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হওয়ায় কারখানা বন্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে নতুন কর্মী নিয়োগ। শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে কেউ কেউ। অর্থাৎ রিজার্ভের পতন ঠেকাতে ডলার জমা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, তাতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ দরে রেমিট্যান্স কিনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দরে। এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় পরোক্ষ চাপ পড়ছে মূল্যস্ফীতিতে। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি করপোরেট গ্রুপকে সহায়তা দিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা।

অভিযোগ রয়েছে, একদিকে বেশি দরে ডলার কেনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে বিক্রিতে কম দাম বেঁধে দিয়ে কালোবাজারিকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। আবার বেশি দামে ডলার বিক্রির অপরাধে কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুই দফায় শাস্তি দিয়ে তা প্রত্যাহারও করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব মিলিয়ে ডলার বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর জন্য নীতিনির্ধারকদের ভুল কিংবা করপোরেট সিন্ডিকেটের প্রভাবিত সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে আয়োজিত এক সেমিনারে সোয়াপের কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তা অটোমেটিক রিজার্ভে যুক্ত হয়। কিন্তু বিনিময় করার জন্য ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ডলার পাচ্ছে কোথায়? তাহলে কি তারা মানি লন্ডারিং করছে? আর বাংলাদেশ ব্যাংক কি তাদের সহযোগিতা করছে?’

সংকট বিরাজমান

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলারের মজুদ ছিল ৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ অঙ্ক ছিল ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আলোচিত সময়ে ব্যাংকের কাছে ডলার হোল্ডিং ১ বিলিয়ন বা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতি ডলার বাজারের ইতিবাচক চিত্রের ইঙ্গিত দিলেও এলসি খোলার দিক থেকে ব্যাংকের আচরণ ছিল ভিন্ন। এখনও স্বাভাবিক গতিতে এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করছে তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এলসি খোলার তথ্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা আগের মতোই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

এর মধ্যে নতুন সমস্যা হিসেবে সামনে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতি। ফেব্রুয়ারি মাসে সোয়াপ শুরু হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ডলার হোল্ডিং কমে ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়নে অবস্থান করে। যদিও তা আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় বেশি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকের ডলার হোল্ডিং ছিল ৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সাধারণত তৈরি পোশাক খাত হওয়ার কারণে আমরা অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে একটু বাড়তি সুবিধা পাই। কিন্তু ডলার বাজারের যে উন্নতির কথা বলা হচ্ছে তার কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। আগে যেমন সংকট ছিল তা এখনও বিরাজমান। এখনও এলসি (ঋণপত্র) খুলতে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে। ডলারের অভাবে অনেক এলসি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এক কথায় পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। অগ্রাধিকার পাওয়া সত্ত্বেও যেহেতু আমাদের এমন অবস্থা, তাহলে অন্য ব্যবসায়ীদের অবস্থা যে আরও খারাপ, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।’

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনও সব এলসি খোলা যাচ্ছে না। ডলারের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও সরকারি জরুরি পণ্যের এলসি খুলতেই তা ব্যয় হচ্ছে। বেসরকারি খাতের এলসি আগের মতোই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে অগ্রণী ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ডলারের প্রবাহ বেড়েছে বলতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে তা নয়। যেভাবে বলা হচ্ছে বাস্তব পরিস্থিতি তেমন নয়। বলা যায়, আগের চেয়ে ১০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের উপকৃত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’

ব্যাংকগুলো সোয়াপ করছে কীভাবে, জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি যদি এলসি না খুলে সোয়াপ করি তাহলে কি বলা যাবে ডলার প্রবাহ বেড়ে গেছে?’

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখনি বেসরকারি এলসি খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বলা যায় ডলার বাজারে যে টানাটানি অবস্থা ছিল, বিশেষ করে খোলাবাজারের যে অবস্থা সেটির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’

সোয়াপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ লাভজনক এবং ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে রয়েছে, তাই অনেক ব্যাংক নতুন এলসি না খুলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখছে। এর বিপরীতে সংগৃহীত অর্থ বন্ডে বিনিয়োগ করছে অথবা উচ্চ সুদে ঋণ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে এলসি ব্যবসার চেয়ে বেশি মুনাফা করা যাচ্ছে। তাই তারা নতুন এলসি খুলছে না। অর্থাৎ নীতিগত সিদ্ধান্তের সুযোগ নিচ্ছে ব্যাংক, এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’

মুদ্রার মজুদ বাড়লেও কমছে রিজার্ভ

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাড়ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডলারের মজুদ ছিল ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। হিসাব অনুযায়ী, এ অঙ্ক আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৭ এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস বিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। আর গত ১৭ এপ্রিল তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। যদিও আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের গ্রস মজুদ ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ (গোপন হিসাব) ১৪ বিলিয়নের কিছু বেশি।

ব্যাংকাররা বলছেন, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ক্রমাগতভাবে কমছে দেশের রিজার্ভ। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন আগের মতো এলসি করছে না। তাই তাদের হাতে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ছে। এখন রপ্তানিকারকরা ডলার এনক্যাশ না করে ধরে রেখেছেন। ইমপোর্ট পেমেন্টের সময় এগুলো প্রয়োজন হবে। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকের সামষ্টিক ডলারের পরিমাণ বেশি দেখাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ইমপোর্ট পেমেন্ট, বিদেশি ঋণ পরিশোধ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। এতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ১৭ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার বা ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীরা তাদের কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করতে না পেরে ব্যবসায়িক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। বর্তমানে ডলার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার প্রেক্ষাপটে এসব ব্যবসায়ীর জন্য খুশির খবর নেই। কারণ রিজার্ভ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতিতে ডলার বন্ধক রেখে রিজার্ভের পতন ঠেকানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে গতকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোয়াপের মাধ্যমে ২ বিলিয়ন ডলার সোয়াপ করেছে। ফলে আলোচিত সময়ে ব্যাংকের ডলার হোল্ডিং কিছুটা কমেছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান জানান, আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডলারের খরচ কমানো হয়েছে। পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ কমে এসেছে। কেউ কেউ কিস্তি পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করেছে। আবার আমদানি দায় পরিশোধের সময় বাড়িয়ে নিয়েছে অনেকে। তা ছাড়া রপ্তানি আয় বুঝে পাওয়ার আগেই তা হিসাবে দেখানো হচ্ছে। তাই সার্বিক ডলারের মজুদ বেশি দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এখন বাজারে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। তাই ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার জমা হচ্ছে। তবে এসব টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ নয়। ইমপোর্ট পেমেন্ট দেওয়ার পর যেটা থাকবে সেটাই আসলে ব্যাংকের সম্পদ। কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলোর ডলারগুলো মূলত নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডেবিট ব্যলেন্স, এফসি ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট ও ক্যাশ হোল্ডিংয়ের অংশ।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি হিসাবে জমা দেওয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার কোনো বাছবিচার ছাড়াই দেশে ও বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ৫ হাজার মার্কিন ডলার নেওয়া যায়। কোনো কোনো ব্যাংক এখন মানুষের ঘরে রাখা ডলার পেতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ ডলারের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ মিলিয়ন ডলার যা এক মাস আগে ছিল ২৮ মিলিয়ন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টেম্পরারিলি এটা ভালো। তবে কমার্শিয়াল ব্যাংকে ডলার বাড়লে রিজার্ভে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। হয়তো ব্যাংকের এক্সপোর্ট রিটেনশন ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। সব ব্যাংকের কাছে যে এখন ডলার আছে বিষয়টা এমন না। যাদের কাছে ডলার আছে তারা আবার সোয়াপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লিকুইডিটি সাপোর্ট নিচ্ছে। এগুলো টেম্পোরারি প্রক্রিয়া। তবে কমার্শিয়াল ব্যাংকের কাছে ডলার বৃদ্ধি পাওয়াটা উল্লেখযোগ্য বা বিরাট কোনো অর্জন নয়।’