[ অনলাইন ] 27/04/2024
 
ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআর, ডিপিএসসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটেও (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, স্টক এক্সচেঞ্জ, সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরেও তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার ও এর আগের দিন এসব চিঠি দেওয়া হয় বলে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে পাচারকৃত সম্পদের তথ্য সংগ্রহের জন্য আগামী সপ্তাহে বিএফআইইউতে পৃথক একটি চিঠি দেওয়া হবে। এসব তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পর বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে

চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তথ্যগুলো পাওয়া গেলে তা বিশ্লেষণ করে অনুসন্ধান দল প্রতিবেদন দাখিল করবে। মামলা করার মতো উপাদান পাওয়া গেলে অনুসন্ধান দল কমিশনে মামলার প্রস্তাব করবে। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর অনুসন্ধান দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তার বক্তব্যও অনুসন্ধান দল পর্যালোচনা করবে।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গত সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার বিষয়টি জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক যেন অনুসন্ধান করে, এমন নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার রিটের প্রাথমিক শুনানির পর দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।