[ পাতা-৩ ] 27/04/2024
 
উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী: হলফনামা বিশ্লেষণ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ এপ্রিল। দুই উপজেলার দুই প্রার্থীর হলফনামা ধরে প্রতিবেদন।

রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী একটি দালান ও পাঁচটি অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাটের মালিক। এই পাঁচটি ফ্ল্যাটের অর্জনকালীন মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত ১০ বছরে ফ্ল্যাটের মতো তাঁর আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। আগে তাঁর বাড়ি ও দোকানভাড়া বাবদ কোনো আয় ছিল না। এখন এই খাতে আয় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তিন একর অকৃষিজমির মালিকও হয়েছেন তিনি। দ্বিগুণ হয়েছে কৃষি ও ব্যবসা খাতের আয়।

২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এহছানুল হায়দার চৌধুরী (বাবুল) টানা চতুর্থবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এই আওয়ামী লীগ নেতা এবার টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিনা ভোটে নির্বাচিত হবেন। তিনি প্রথম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন ২০০৯ সালে।

তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে তিন হাজার বর্গফুটের একটি দালানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয়েছে পৌনে ৪৮ লাখ টাকা। দালানের বাইরে ৫টি ফ্ল্যাটের অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট ২০১৪ সালের হলফনামায় দেখানো হয়েছিল। সেটার মূল্য দেখানো হয়েছিল সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের হলফনামায় যোগ হওয়া আরও চারটি ফ্ল্যাটের মূল্য সাত লাখ টাকা।

২০১৪ সালে এহাছানুলের দালানের মূল্য দেখানো হয় পাঁচ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ৩৩ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাটের পাশাপাশি আফমি প্লাজায় একটি দোকানের উল্লেখ করা হয়। ওই দোকানের অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয় ৪৪ লাখ টাকা। ১০ বছর আগে স্ত্রীর ৭৭ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

হলফনামা সূত্র জানায়, এহছানুলের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংক জমা বেশি। চেয়ারম্যানের নগদ টাকা রয়েছে ৩০ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে ৫১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফানামায় হাতে নগদ ছিল মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তখন স্ত্রীর নামে কোনো টাকা ছিল না। স্ত্রীর নামে বর্তমানে ব্যাংকে আছে ১০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

এ ছাড়া এহছানুলের কৃষি খাতে আয় ২০১৪ সালে ছিল ৫২ হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে ১ লাখ হয়েছে। ব্যবসায় আয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ১২ লাখ টাকা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর নামে ১৬০ শতক কৃষিজমি দেখানো হয়েছে। আর স্ত্রীর নামে দেখানো হয়েছে ৬৪ শতক কৃষিজমি। আগে অকৃষিজমির অস্তিত্ব না থাকলেও এবার ৩০২ শতক জমি দেখানো হয়েছে, যার মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৬০ লাখ টাকা।

একটু সঞ্চয়েও মনোযোগী হয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের এই কোষাধ্যক্ষ। ১৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে তাঁর। আগে ছিল না।