[ পাতা-৩ ] 27/04/2024
 
মতিঝিলে আড়াই কোটির বাড়ি, ব্যাংকে ঋণ করেছেন রাশেদুল
পাঁচ বছর আগে আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) চাকরি করে মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া বছরে আয় করতেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এখন তিনি বছরে আয় করেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার কিছু বেশি। আয় খুব একটা না বাড়লেও পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঢাকার মতিঝিলে আড়াই কোটি টাকা দামের চারতলা বাড়ির মালিক হয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ করেছেন ৮৩ লাখ টাকা।

রাশেদুল কাওসার কসবা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারও তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। দুটি নির্বাচনে তাঁর দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় ধাপে কসবায় আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এতে রাশেদুলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাইদুর রহমান। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই।

রাশেদুলের মূল পেশা আইনজীবী। পাঁচ বছর আগে নির্বাচনের সময় স্ত্রী কিংবা তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় এবং সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি। এবারও ‘প্রযোজ্য নয়’ উল্লেখ করেছেন।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় রাশেদুলের স্থাবর সম্পদ বলতে কসবার বায়েকে ১৪ লাখ ৭ হাজার টাকা মূল্যের ৫৩ শতক কৃষিজমি এবং ১৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা মূল্যের ৭৫ শতাংশ অকৃষিজমি ছিল। পাঁচ বছর পর তাঁর স্থাবর সম্পদের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। এ সময় ঢাকার মতিঝিলে ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের চারতলা ভবনের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া অন্য স্থাবর সম্পদ আগের মতোই আছে। পাশাপাশি বর্তমানে আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে তাঁর ৮৩ লাখ ১১ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।

রাশেদুল ২০১৯ সালের হলফনামায় কেবল চাকরি (আইনমন্ত্রীর এপিএস) থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা। এবার তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সম্মানী হিসেবে বছরে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়িভাড়া থেকে ৮ হাজার ৫০৩ টাকা এবং ব্যাংক আমানত থেকে ৪ হাজার ৮৫৩ টাকা আয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

আগে রাশেদুলের হাতে নগদ ১৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ও ব্যাংকে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ছিল। এখন নগদ ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ২৯৭ ও ব্যাংকে ২ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ টাকা জমা আছে। আগে ১ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার এবং সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এখন অবশ্য সেগুলো নেই।

অপর প্রার্থী ছাইদুর রহমান ব্যবসায়ী। বাড়ি বা দোকান ভাড়া, ব্যবসা ও অন্যান্য থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ টাকা। হাতে নগদ আছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৬ টাকা ও ব্যাংকে আছে ৩ হাজার ৪৪ টাকা। এ ছাড়া ২৮ লাখ টাকা মূল্যের মাইক্রোবাস, ১০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতকের পৈতৃক বাড়ি এবং ৬৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের দোতলা দালান আছে।