|
|
|
বন্দরে বিকল গ্যান্ট্রি ক্রেন সরিয়ে সিসিটিতে কন্টেনার হ্যান্ডলিং শুরু |
|
|
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ধাক্কায় দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। সিসিটির (চিটাগাং কন্টেনার টার্মিনাল) একটি জেটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না প্রায় দেড় মাস ধরে। এতে করে ব্যাহত হয় পণ্য ওঠানামার কার্যক্রম এবং একই সঙ্গে হ্রাস পায় ইয়ার্ডে কন্টেনার ধারণক্ষমতা। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেন সিসিটি ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে নিয়ে সেখানে পুরনো পদ্ধতিতে জাহাজ ভেড়ানো শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, জাপান থেকে আসা চারজন বিশেষজ্ঞ রবিবার থেকে শুরু করেন বিকল হয়ে যাওয়া গ্যান্টি ক্রেন সরিয়ে নেয়ার কাজ। এ ক্রেন যেমন কাজে আসছিল না তেমনিভাবে বিকল হয়ে পড়ে থাকার ফলে কাজে ব্যাঘাত ঘটছিল। সবচেয়ে কার্যকর টার্মিনাল সিসিটির অঙ্গহানি হওয়ার বন্দরে কন্টেনার জাহাজের অপেক্ষমাণ সময়ও বেড়ে যায়। বুধবার থেকে শুরু হয় সিসিটির ওই দুটি বার্থে জাহাজ ভেড়ানোর কাজ।
বন্দর পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বুধবার ওই জেটিতে ভিড়ে ১ হাজার ৭১৩ টিইইউএস কন্টেনার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ এমভি ক্যাপ মন্টেরি। ওই জাহাজের ক্রেন দিয়েই নামানো শুরু হয় কন্টেনার।
প্রসঙ্গত, দুই ধরনের কন্টেনার জাহাজ রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো গিয়ারলেস (ক্রেন ছাড়া), অপরটি ক্রেন সংযুক্ত। গ্যান্ট্রি ক্রেন স্থাপিত হওয়ার পর সিসিটিতে ভেড়ানো হচ্ছিল গিয়ারলেস জাহাজ। কারণ, গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কন্টেনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হয়। কিন্তু ক্রেন বিকল হওয়ায় এখন গিয়ারলেস জাহাজ বাদ দিয়ে পুরনো পদ্ধতির জাহাজই ভেড়াতে হচ্ছে। অর্থাৎ জাহাজে সংযুক্ত ক্রেন দিয়েই কন্টেনার ওঠানামা করা হচ্ছে। এতে কাজে কিছুটা ধীরগতি হলেও গ্যান্ট্রি ক্রেন সরিয়ে নেয়ার সিসিটির জেটি দুটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে।
গত ২৬ জুলাই বিকেলে জেটিতে এমভি এক্সপ্রেস সুয়েজ নামের একটি জাহাজের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি কীÑগ্যান্ট্রি ক্রেন। তখন থেকেই অচল থাকে সিসিটির জেটি। ক্রেন সরবরাহকারী জাপানী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা চট্টগ্রামে এসেছেন। তারা এগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করবেন। তবে এ জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। |