[ অনলাইন ] 2025-02-05 |
|
|
|
|
৮৮৮ কোটি টাকায় সার ও ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার
|
|
|
দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পৃথক পাঁচটি চুক্তির আওতায় এক লাখ টন বিভিন্ন ধরনের সার ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সার উৎপাদনে ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে মোট ৮৮৮ কোটি ১৯ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা।
সচিবালয়ে গতকাল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সার ও ফসফরিক অ্যাসিড কেনার অনুমোদন দেয়া হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক সৌদি আরবের মা’এডেন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার ক্রয় করা হবে। চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে দ্বিতীয় লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম পড়বে ৬১১ ডলার। সে হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৯৮ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি টন ৩৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৪২ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার টন (১০%+) বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির আর ক্রয় আদেশ অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি টন ৩৯৫ দশমিক ১৬ ডলার দরে এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪৪ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা।
সভায় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ডিএপিএফসিএলের জন্য ২০ হাজার টন করে ৪০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড (পি২ও৫: ৫২-৫৪ শতাংশ) আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুটি প্রস্তাবেই ফসফরিক অ্যাসিড সরবরাহের কাজটি পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই। অ্যাসিড প্রস্তুতকারক মূল কোম্পানি হচ্ছে চীনের গুইয়ানজি পেংগুয়ি ইকো-টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফস্কর পিটিওয়াই লিমিটেড। এর মধ্যে প্রথম প্রস্তাবে প্রতি টন ৬৩৩ দশমিক ৪২ ডলার দরে ২০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানিতে বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৫২ কোটি ২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রতি টন ৬১৭ দশমিক ৭৬ ডলার দরে ২০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানিতে বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
এদিকে বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি সরবরাহ করবে নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড। প্রতি কেজি ৯৭ টাকা ৯২ পয়সা দরে এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
|