টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে সরকারকে এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে অথবা ট্রাভেল এজেন্সিরগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সমঝোতা করতে হবে। এর পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। দিনশেষে ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। যারা এ ধরনের সিন্ডিকেট করছে তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে তথ্য নিয়ে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ভাড়া চিন্তা করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। আটাবের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যাতে বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে এটি বাড়ানো না হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে মনিটর করতে হবে যে নির্ধারণ করে দেওয়ার পর কারা বেশি নিচ্ছে। কারণ মজুদ করে রেখে পরে বিক্রি করা এক ধরনের অনৈতিক পক্রিয়া।
এটি বন্ধে সরকারকে মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। এ ছাড়া আমাদের যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট দেওয়া সম্ভব, সেখানে টিকিটের মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শ্রমিকরা যেসব দেশে যান সেসব দেশে যদি আমরা বিমানের ফ্লাইট দিয়ে পাঠাতে পারি, তাহলে ভাড়া অনেকাংশে কমে আসবে। আর বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে সমঝোতা করা কতটুকু সম্ভব।
সে ক্ষেত্রে অভিবাসী কর্মীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাযথ দাম নির্ধারণ করা যেতে পারে। সেটা একটা মনিটরিং ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে। কারণ টিকিট বিক্রিতে বাণিজ্যিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, যেহেতু আমাদের কর্মীরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। আর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে প্রতিবছর আমাদের একটা বড় অংশের কর্মী গিয়ে থাকেন। সে বিষয়ে একটি সমঝোতা করা যেতে পারে যে প্রতিবছর কতজন কর্মী ও যাত্রী যাবে; এই কর্মী ও যাত্রীর জন্য এই পরিমাণ ভাড়া নির্ধারণ করা হলো, যাতে এয়ারলাইনসগুলোরও ক্ষতি না হয়।
কর্মী ও যাত্রীদেরও যেন বেশি দাম দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে না হয়। সেটা সিভিল অ্যাসোসিয়েশনও করতে পারে বা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা করতে পারেন।