[ অনলাইন ] 2025-02-05
 
ট্রাম্পের শুল্কনীতি, ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ
পোশাক রফতানিতে সুখবর
 

আমেরিকায় সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। বিদায় বলে দিতে হয়েছে ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনকে। দেশটির প্রেসিডেন্টের আসনে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বব্যাপী তিনি ‘পাগলা ঘোড়া’ হিসেবেই অধিক পরিচিত। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগেই অবশ্য এর প্রমাণ রেখেছেন তিনি। তার সময়ে মার্কিন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আর তাতে দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশ অংশ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। গত নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারানোর পরই বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে বড় আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের এই মেয়াদ অর্থনৈতিক সুযোগ এনে দিতে পারে। কেননা আমেরিকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) একটি প্রধান উৎস। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প অনেকাংশে আমেরিকার বাজারের ওপর নির্ভরশীল। ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতির শুরুতেই বিপাকে পড়েছে চীন। চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে মাসুল চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। অপরদিকে চীনও বসে নেই। তারাও পাল্টা হিসেবে আমেরিকার পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত নিলো। অর্থাৎ, আরো একধাপ এগিয়ে বেশি মাসুল বসালো চীন। গতকালই চীনা জিনিসের ওপর আমেরিকার ১০ শতাংশ হারে শুল্ক চালু হয়েছে। তার মিনিট কয়েকের মধ্যে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফে মার্কিন জিনিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক বসানোর ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বেশ কিছু জিনিস আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ চালু করেছে। এদিকে মেক্সিকো ও ক্যানাডা নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বদল এসেছে। গত সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, ৩০ দিনের জন্য ক্যানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হলো। ট্রাম্প বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো আমেরিকার সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমি আলোচনায় সন্তুষ্ট। তাই ৩০ দিনের জন্য মাসুল বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছি। তবে আমেরিকার সম্পর্ক শিথিল হয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে। আর ইইউ থেকে অ্যামেরিকা অনেক বেশি পরিমাণে আমদানি করে, তুলনায় ইইউ-তে তারা কম রফতানি করে। ২৭টি দেশ নিয়ে তৈরি ইইউ ৫০ হাজার তিনশ’ কোটি ডলারের পণ্য আমেরিকায় রফতানি করে। ওষুধ ও গাড়ি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রফতানি করে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে ইইউ-তে ৩৪ হাজার সাতশ’ কোটি ডলারের জিনিস রফতানি করেছে। এর ফলে ২০২৩ সালে ইইউ’র তুলনায় আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলার। তাই ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক বৈরিতা দেশের ওষুধ এবং সফটওয়্যার রফতানির বাজারকেও বৃদ্ধি করবে, যা সুযোগ তৈরি করবে। এতদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় কোম্পানি সফটওয়্যার আউট সোর্সিং করতো। অমেরিকার অভিবাসন নীতির কারণে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় ১৮ হাজার অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, যা বাংলাদেশের সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের জন্য সরাসরি ব্যবসার সুযোগ তৈরি করবে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে চীনে টানা দুই মাস ধরে পণ্য উৎপাদন কমছে। গত সোমবার মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে চীনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরের মতো জানুয়ারিতেও চীনের কারখানাগুলোয় অপ্রত্যাশিতভাবে উৎপাদন কমেছে। ফলে চীন সরকারকে আর্থিক প্রণোদনার উদ্যোগ নিতে হতে পারে।

বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় একক বাজার যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি বছর মোটামুটি ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এই রফতানির বেশির ভাগই তৈরী পোশাক। বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া তৈরী পোশাকের ৬৯ শতাংশেরই গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষে এসে বাজার দু’টিতে পোশাক রফতানি বেড়েছে। তাতে দেশের তৈরী পোশাক খাত অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইইউ’র পরিসংখ্যান কার্যালয় (ইউরোস্ট্যাট) ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বরেই বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৬১ কোটি ডলারের তৈরী পোশাক রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। রফতানিকারকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রয়াদেশ বেড়েছে, যা চলতি মাসেও অব্যাহত থাকবে। নতুন করে চীনা পণ্যে শুল্ক বসানোয় দেশটির অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরাবে। তাতে বাংলাদেশের কারখানাগুলো ভালো ক্রয়াদেশ পেতে পারে।

স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে থেকেই চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরতে শুরু করেছে। তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশ পাচ্ছে। ভারত আর ভিয়েতনামেও কিছু ক্রয়াদেশ গেছে। তবে নতুন করে তাদের ক্রয়াদেশ নেওয়ার সক্ষমতা নেই। কারণ, তাদের কারখানার সক্ষমতা আগেই পূর্ণ হয়েছে।

স্প্যারো গ্রুপ গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী পোশাক রফতানিতে ২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তারা আরও ক্রয়াদেশ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা নিতে পারেনি, এমন তথ্য জানিয়ে শোভন ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কম-বেশি সব ক্রেতা প্রতিষ্ঠানই ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে আমাদের তৈরী পোশাক রফতানি চলতি বছর ভালো থাকবে।

বায়িং হাউস-ক্লথ ‘আর’ আস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ক্য চিন ঠে (ডলি) বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরাতে চাইছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি করে, চীনের এমন অনেক রফতানিকারক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছেন। চলতি মাসে ক্রয়াদেশ আসার হার আরও বাড়বে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হিস্যার ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রফতানিকারক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করে চীন আর ভিয়েতনাম। ট্রাম্প সরকার চীনা জিনিসের ওপর অ্যামেরিকার ১০ শতাংশ হারে শুল্ক চালু করেছে, যা বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকের বাজার বৃদ্ধি পাবে। এদিকে চীনের ওপর অতিরিক্ত ট্যারিফ বসানোয় চীন এখন বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বেছে নেবে পণ্য উৎপাদনের জন্য, যা বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশের জন্য সুযোগ বয়ে আনতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিশাল বাজার ধরতে পারবে এসব দেশ। কারণ, এসব দেশকে তুলনামূলক কম শুল্ক দিতে হবে।

অমেরিকা-চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও ওষুধ শিল্পে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনানীতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও রফতানিকারকরা। কারণ, চীনের প্রতি ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের কারণে অনেক রফতানি আদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হতে পারে।

এনভয় টেক্সটাইলসের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত ব্যবসাবান্ধব মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। তবে চীনের ব্যাপারে তার কঠোর অবস্থানের কারণে ক্রেতারা চীন থেকে অন্য দেশে অর্ডার স্থানান্তর করবে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এটি বড় সুযোগ। ট্রাম্পের আগের মেয়াদে কিছু রফতানি আদেশ কিন্তু বাংলাদেশে সরে আসতে শুরু করেছিল।

পোশাক রফতানিকারকদের মতে, বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি দেশের পোশাক শিল্পের জন্য আগামী বছরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক রফতানির বৃহত্তম একক রফতানি গন্তব্য হওয়ায় এই নীতি পরিবর্তন চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক উৎপাদনকারী বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তৈরী পোশাক রফতানিকারকরা বলছেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক আরোপের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বাড়তে পারে। এতে করে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচাম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, চীন ও ইইউ’র সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য সুখবরই। প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে এখন সঠিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে পারলে বাংলাদেশ বেনিফিটেট হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে তার ট্যারিফ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক চালু করেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনকই হবে বলে মনে করেন তিনি। চীনের ওপর প্রস্তাবিত ট্যারিফের প্রসঙ্গে এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-বিশেষজ্ঞ বলেন, চীন বিশ্বের অন্যতম বড় রফতানিকারক দেশ। ট্রাম্পের চীনা নীতি বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশের জন্য সুযোগ বয়ে আনবে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিশাল বাজার ধরতে পারবে এসব দেশ। কারণ, এসব দেশকে তুলনামূলক কম শুল্ক দিতে হবে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে মার্কিন পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড পোশাক পণ্যের সোর্সিং চীন থেকে অন্য দেশ থেকে স্থানান্তর করার চেষ্টা করবেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে একটি বড় সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এদিকে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা হুমকির কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ বড় জাহাজ কোম্পানি বাধ্য হয়ে তাদের জাহাজগুলো আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের পাশ দিয়ে যাতায়াত করাচ্ছে। এর ফলে অপারেশন খরচ এবং গন্তব্যে পৌঁছতে সময় বাড়ছে। বৈশ্বিক মালবাহী জাহাজের ভাড়া আবার বাড়ছে। শিল্প বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, লোহিত সাগরে নিরাপত্তা হুমকির কারণে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম দ্বিগুণ হতে পারে। যদিও ট্রাম্পের চীনা শুল্কনীতির কারণে চীন বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াবে। আর এতে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে চীন-বাংলাদেশ সরাসরি শিপিং রুটের জাহাজ চলাচল, যা বাংলাদেশ ও চীনের বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন রুটটি চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে শিপিং সময় কমিয়ে দিয়েছে। আগে এ রুটে জাহাজ চলাচলের জন্য ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগত।

চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে মোট ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে ২২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে এবং ৬৭৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তৈরী পোশাক শিল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাঁচামাল চীন থেকে আসে। এ পর্যন্ত এসব পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের মাধ্যমে আসত, যা সময়ক্ষেপণ করত। নতুন এই সরাসরি পরিষেবা পণ্য সরবরাহের সময় অনেকটাই কমিয়ে দেবে, যা পোশাক শিল্পের জন্য বেশ উপকারী হবে।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved