দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ইস্যুতে ঢাকা থেকে যেসব বার্তা আসছে তা ইতিবাচক না হলেও বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই ভারতের। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না ভারতবাণিজ্য বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ভারত পাল্টা ব্যবস্থা নেবে না বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
এ ছাড়া গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টম হাউসে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল, সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করলেও পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির তথ্যও তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশে রপ্তানি বাড়াতে পাকিস্তানও পথ খুঁজছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েনের অংশ হিসেবে গত ৮ এপ্রিল ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) সেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য, ২০২০ সালে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে তাঁদের বিমানবন্দর এবং অন্য বন্দরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র জট তৈরি হয়। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি খরচ বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল এবং বন্দরে আটকে পড়া পণ্যের পরিমাণ বাড়ছিল।
এর ফলে সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ট্রান্সশিপমেন্ট হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রক্রিয়া, যেখানে একটি দেশ তার পণ্য সরাসরি গন্তব্য দেশে না পাঠিয়ে মাঝপথে অন্য একটি দেশের বন্দর ব্যবহার করার মাধ্যমে রপ্তানি করে। একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পণ্য আমদানিও করা হয়।