[ অনলাইন ] 2025-04-18 |
|
|
|
|
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি পেতে চেষ্টা চলছে: অর্থ উপদেষ্টা
|
|
|
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। আর মার্কিন বাজার থেকে আমদানি বাড়াতে জ্বালানি খাতের বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠকে অংশ নিতে আগামীকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা। ওই বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস অব ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটেভি (ইউএসটিআর), বিনিয়োগকারী এবং রপ্তানিকারকদের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা। মূলত ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এসব বৈঠক করবেন অর্থ উপদেষ্টা।
বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি ও মেশিনারিজ আমদানি করা হলে ঘাটতি কমবে। তবে ঘাটতি কমানোর জন্য আমরা চাচ্ছি স্বাভাবিকভাবে বাণিজ্য। বিশেষ করে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে জিএসপি আবার চালু করা বিষয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদিও জিএসপির সঙ্গে শ্রম আইন ও ট্রেড ইউনিয়ন বিষয় রয়েছে। দেশের তৈরি পোশাকের গুণগত মান রয়েছে। উপদেষ্টা আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে রপ্তানি বহুমুখীকরণের দিকে নজর দেবে বলে জানান। বাণিজ্য ইস্যুতে ইউএসের সঙ্গে আরও সম্পর্ক বিস্তার করাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বৈঠকে কী প্রস্তাব দেওয়া হবে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দাতা সংস্থাগুলোর কাছে বাজেট সহায়তা চাওয়া হবে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং ওপেক ফান্ডের কতগুলো প্রকল্প বিষয়সংক্রান্ত ইস্যু আছে সেগুলোর অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দু’টি এবং ওপেক ফান্ডের সঙ্গেও চুক্তি হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের সঙ্গেও উপদেষ্টার বৈঠকের পরিকল্পনা আছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে কাজ করছে। আর রূপপুর প্রকল্পের পেমেন্ট নিয়ে ইউএস ট্রেজারির সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এখন অর্থ পরিশোধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক আইএমএফ বৈঠকের বাইরে সেখানের ব্যবসায়ী কাউন্সিলের সঙ্গে আলাপ করব। সেটা আমাদের এফবিসিসিআইয়ের মতো একটি সংগঠন। যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ৭০টি কোম্পানি রয়েছে। তাদের কাছে এফডিআর ও আমাদের অর্থনীতির বিষয়ে শুনব।
একই সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগকারী আটলান্টিক কাউন্সিলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।
ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক : টিসিবির জন্য দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং এক কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের মূল্য ১৬১ টাকা ও সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৮৫ পয়সা। সয়াবিন তেল কিনতে মোট ৩৬৫ কোটি টাকা এবং রাইস ব্রান তেল কিনতে ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া দুই কার্গো এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১১৩৭ কোটি টাকা।
|