[ অনলাইন ] 2025-04-18 |
|
|
|
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
কিছু ঘটনার কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ
|
|
|
ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা বন্ধের পেছনে কিছু ঘটনা দায়ী বলে জানিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ওই সিদ্ধান্তের আগের কিছু ঘটনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, তাহলে ছবিটা পূর্ণ ও স্পষ্ট হবে। তবে কোন ‘ঘটনাবলি’ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন সে বিষয়টি মুখপাত্র স্পষ্ট করেননি।
ভারতের সরকারি সূত্র অনুযায়ী, মার্চে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল অবকাঠামোজনিত সমস্যা। যদিও সেই সিদ্ধান্ত রূপায়িত হয় ভারত তার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর। একই সূত্র মতে, যাতে সমুদ্রবন্দর দিয়ে পাকিস্তানি সুতা আমদানি করা সম্ভব হয়, সে জন্য বাংলাদেশ ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
রণধীর জয়সোয়াল অপর এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, ভারতের ওই সিদ্ধান্তের আওতায় অবশ্য নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র পড়ছে না। ওই দুই দেশে বাংলাদেশি পণ্য যথারীতি সরবরাহ হবে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি জানান, ভারত বারবার বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এক ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ সম্পর্ক চায়। ‘গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বাংলাদেশ দেখতে ভারত আগ্রহী।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত : বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র এমন দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বাণিজ্যবিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পালটা ব্যবস্থা দিল্লি হয়তো নেবে না বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের জট কমাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে। যদিও দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমে এর আগে বেশ ফলাও করে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করার পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তাদের সরকার। টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই মার্চে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও সুতা আমদানিসংক্রান্ত নির্দেশনা গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুদেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে করা হয়েছিল বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়-‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে।’
|