গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাত্র ১ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতিসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি অভাবনীয়ভাবে কমেছে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুন শেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং গত বছরের আগস্টে ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ গত ১১ মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। সোমবার বিবিএসের মূল্য ও মজুরি পরিসংখ্যান শাখা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরকে ভিত্তিসূচক ধরে জুন ২০২৫ সালে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা গত মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং গত বছরের আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং গত বছরের আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর সব মিলিয়ে গত ২৭ মাস পর দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
অপরদিকে গ্রামীণ ও শহরে এই সময়ে মূল্যস্ফীতির তেমন বেশি পার্থক্য দেখা যায়নি। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা গত মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং গত বছরের আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ সময় শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দঁাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা গত মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং গত বছরের আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ০১ শতাংশ।
শহরে ও গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে দেখা যায়, জুনে যেখানে শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, সেখানে গ্রামে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত বছরের আগস্টে এই মূল্যস্ফীতি শহরে ছিল ১১ দশমিক ২৪ এবং গ্রামে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে জুনে যেখানে শহরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং গ্রামে ৯ দশমিক ৭২, সেখানে গত বছরের আগস্টে এই মূল্যস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।