বেসিক ব্যাংকের ৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের পর এবার বিতর্কিত ব্যবসায়ী কামাল জামান মোল্লার বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি এবং স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
দুদক সূত্র জানায়, কামাল জামান মোল্লা নূরুদ্দীন একাধারে ‘ভাসাবি ফ্যাশন’, ‘ভাসাবি জুয়েলার্স’-সহ বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং মাদারিপুর শিবচর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক। ক্ষমতাচ্যুত আ’লীগ সরকার আমলে আওয়ামী ঘনিষ্টতার বিনিময়ে ব্যাংক ঋণ সুবিধা লাভ করেন। পরবর্তীতে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি ফাঁস হলে ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মীর মো: জয়নুল আবেদীন শিবলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বেসিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের হাত করে গুলশান শাখা থেকে ভুয়া জামানতে ৭৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও মামলা হয়। এ মামলায় ‘ভাসাবি ফ্যাশন’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ’লীগের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকায় কামাল জামান নূরুদ্দীন মোল্লাকে মালয়েশিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সাবেক আওয়ামী এমপি মুরাদ তালুকদারের সহায়তায় মালয়েশিয়া পালিয়ে যান বলে জানা যায়। তবে ওই মামলায় ২০১৬ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভাসাবি ফ্যাশনের চেয়ারম্যান ইয়াসির আহমেদ খান। মাদারীপুর শিবচর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কামাল জামান নূরুদ্দীন মোল্লা ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর একবার গ্রেফতার হন।
জামান জামাল মোল্লার বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি ও স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে সরকারের শত শত কোটি টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ এবং বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নতুন করে শুরু হলো দুদকের অনুসন্ধান। তার বিরুদ্ধে করা বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলাটি এখনো বিচারাধীন।