[ অনলাইন ] 14/07/2025 |
|
|
|
মিটারের ব্যাটারি আমদানিতে শতকোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি |
 |
|
মিথ্যা ঘোষণায় ব্যাটারি আমদানি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি। শুল্কহারের বড় ব্যবধান থাকায় ব্যাটারির পরিবর্তে মিটারের পার্টসের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে যোগসাজশ ছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এতে সরকারি কোষাগারের অন্তত ১৪০ কোটি টাকা চলে গেছে অসাধু ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের পকেটে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মিটার ব্যবহার হয়। প্রতিটি মিটারে থাকে একটি করে ব্যাটারি। গত কয়েক বছরের মিটার সরবরাহের কার্যাদেশ বলছে, ৯টি কোম্পানি এই মিটারগুলো সরবরাহ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টেকনো ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড, বিঅ্যান্ডটি মিটার লিমিটেড, মিটার ডি টেক, ইউনিভার্সাল পাওয়ার লিমিটেড, হুসাফ মিটার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, বাঁধন ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড, স্মার্ট মিটার, সুপারস্টার ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড।
ব্যাটারি আমদানির কথা থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আমদানির তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ধরনের ব্যাটারি আমদানি করেনি। তারা শুধু মিটারের বিভিন্ন পার্টস আমদানি করেছে। কাস্টমসের বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের এইচএস কোড রয়েছে। সেই কোডের পণ্যের নির্দিষ্ট বর্ণনা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, এক পণ্যের ঘোষণা দিয়ে অন্য পণ্য আনার সুযোগ নেই।
Google News গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ”র খবর পড়তে ফলো করুন
অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায়, সব মিটারেই ব্যাটারি থাকে। আলাদা করে কোনো ব্যাটারি তারা কেনেন না। আলাদাভাবে ব্যাটারি লাগানোর সুযোগও নেই। এ ধরনের ব্যাটারি দেশে উৎপাদন না হওয়ায় আমদানির বিকল্প নেই। আমদানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলাদা করে ব্যাটারি আমদানি না হলে তা মিটার পার্টস ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে।
তথ্য বলছে, ব্যাটারি আমদানি পর্যায়ে প্রায় ৯০ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। অন্যদিকে মিটারের পার্টস আমদানির শুল্ককর ৪৬ শতাংশ। এ ধরনের পণ্যে সর্বনিম্ন আমদানি মূল্যও নির্ধারিত থাকে। এই দুই ধরনের পণ্যের মধ্যে শুল্ককরের পার্থক্য প্রায় ৪০ টাকা, যা আমদানিকারী কোম্পানিগুলো ছলচাতুরীর মাধ্যমে ফাঁকি দিয়ে আসছে। এতে সাড়ে তিন কোটি মিটার থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে ১৪০ কোটি টাকার রাজস্ব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজস্ব ফাঁকি দিতে গেলে কোম্পানি ছাড়াও কাস্টমসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ ছাড়া সম্ভব নয়। একদিকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার, চাপ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বাড়ছে সরকারের ঋণ ও লাগাম টানতে হচ্ছে ব্যয়ের। অন্যদিকে কিছু অসাধু কোম্পানি, কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
কোম্পানিগুলোর আমদানি নথি পর্যালোচনা করলেই এই জালিয়াতির হদিস পাওয়া যায়। সাধারণত যেসব পণ্যের শুল্ককর হার যত বেশি, সেসব পণ্যের শুল্ক ফাঁকির পরিমাণও বেশি। এ ছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বেশি শুল্কের পণ্য কম শুল্কের পণ্য ঘোষণায় খালাসের ঘটনাও ঘটছে প্রায় নিয়মিতই। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
 |
|