[ অনলাইন ] 16/07/2025 |
|
|
|
অতিরিক্ত লাভের লোভে প্রতারণার ফাঁদ! সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক |
 |
|
উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে জনগণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ই-কমার্স, অনলাইন ব্যবসা, অফলাইন বিনিয়োগ বা ক্রাউডফান্ডিংয়ের নামে কিছু প্রতিষ্ঠান 'দ্রুত লাভের নিশ্চয়তা' দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সতর্কবার্তা জারি করে জনগণকে এসব প্রলোভনে না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অফলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে 'অস্বাভাবিক রিটার্ন'-এ ধরনের প্রস্তাব দিয়ে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে। পরে তারা গ্রাহকের 'ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওপিটি' সংগ্রহ করে হজের টাকা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অর্থ কিংবা সরকারি ভাতার অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য, অনুমোদনহীন ও নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করলে কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ প্রতারণার শিকার হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গ্রাহককেই নিতে হবে। এ বিষয়ে আইনের নিরিখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট করেছে যে, 'পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪'-এর ধারা ৪, ১৫ এবং ১৮(৪) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক এ সতর্কবার্তা জারি করেছে।
এই সতর্কতা শুধুই একটি সতর্কীকরণ বার্তা নয়, এটি জনস্বার্থে জারি করা একটি নির্দেশনা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, 'প্রতারণামূলক লেনদেন ও আর্থিক প্রতারণা রোধে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বাংলাদেশ ব্যাংক জনসাধারণকে সচেতন করতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে, যেমন-অস্বাভাবিক লাভের প্রলোভনে পা দেবেন না। অতিরিক্ত মুনাফার আশ্বাস সন্দেহজনক। লেনদেনের আগে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করুন। ওটিপি পাসওয়ার্ড কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য কাউকেই শেয়ার করবেন না, এমনকি পরিচিত কেউ অনুরোধ করলেও নয়। সরকারি ভাতা বা সহায়তার নামে কোনো লোভনীয় প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। সেগুলোর সত্যতা যাচাই ছাড়া সিদ্ধান্ত নেবেন না।
সম্প্রতি প্রতারকচক্রগুলো কৌশল পালটে আরো বিশ্বাসযোগ্য রূপ নিচ্ছে। কারো নামে ক্লোনড পেজ তৈরি করে বা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুযোগ দেখিয়ে 'নকল লিংকে' নিয়ে যাচ্ছে ব্যবহারকারীদের। এই লিংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য। এর মাধ্যমে কারো কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়া হচ্ছে।
উচ্চ মুনাফার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছে এবং আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই-বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছে। প্রতারণার শিকার হলে এর দায় ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
 |
|