[ অনলাইন ] 16/05/2024 |
|
|
|
প্রতারণা আর শৃঙ্খলা ভঙ্গ যেন এসআই আশরাফুলের নেশা
|
|
|
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে লক্ষীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতার সৈয়দ শফিকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সেলিমের প্রতারণা ও নিজ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা নেশা এবং পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, পুলিশে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন সময় অস্ত্র ও হাতকড়া নিয়ে এলাকায় এসে অসহায় লোকদের মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখানো, চাকরিচ্যুতদের চাকুরিতে বহাল রাখা ও টাকা না দিলে নিজ এলাকায় গ্রামীণ দাঙ্গা সৃষ্টি করার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, এতে তার ভয়ে আতংকিত এলাকারবাসী। এ সকল বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১৪৮/২৪ (নবীনগর) নং মানহীন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে বর্তমানে সে সেই মামলায় জামিনে রয়েছে, অপর আরেকটি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে করা সাইবার পিটিশন ১৪৫/২৪(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিআইডি কতৃক তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া গত মার্চ মাসের ৫ তারিখ মুসা মিয়া ও আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার লক্ষীপুর এবং জেলা পুলিশ সুপার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। এমনকি বিগত ২০১৯ সালে কক্সবাজার জেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় একটি মামলার চার্জশীটে অনিয়ম করায় কক্সবাজার আদালত তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে আদেশ প্রদান করলে সে ঐ আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে ৪৭৮৪৩/২০১৯ ক্রিমিনাল মিস কেইস করলে মহামান্য হাইকোর্ট রোল আদেশ ইসূ করে, এতে সে চাকুরীতে বহাল রয়েছে।
সাইবার ট্রাইবুনালসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা আমিনুল ইসলাম জানান, এসআই আশরাফুল নিজ নামীয় সহ বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করায় আমি তার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ করেছি। মানহীন মামলায় জামিনে রয়েছে, বাকীগুলো তদন্ত হচ্ছে। আমি তার শাস্তি স্বরুপ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানাই।
পুলিশের চাকুরিতে বহাল রাখতে জামানতের কথা বলে ৮ লাখ টাকা তাকে দেয়া অপর এক ভুক্তভোগী তানভীর হোসেন সাগর ওরফে সাব্বির জানান, ২০২০ সালে আমার পুলিশের চাকরি চলে গেলে সে আমার চাকরি ফেরত দেয়ার কথা বলে জামানত স্বরুপ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ৮ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত চাকরি আর টাকা কোনো কিছুই দেয়নি।
এছাড়াও মুসা মিয়া সহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এসআই আশরাফুল ইসলাম ওরফে সেলিম আমাদের গ্রামে ইন্ধন দিয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে টাকা নেয় এবং বিভিন্ন সময়ে গ্রামে এসে মামলার ভয় দেখায় এমনকি সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে। আমাদের গ্রামের স্বার্থে তার শাস্তি দাবি জানাই।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে এসআই আশরাফুল ইসলাম ওরফে সেলিম জানান, আমার বিরুদ্ধে এগুলো উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা অভিযোগ করেছে একটি মহল। আমি এ সকল কর্মকান্ডে জড়িত নয়।
|
|