[ অনলাইন ] 30/06/2024
 
তিন মাসে ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ৭৭ শতাংশ

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য বরাবরই ভালো ছিল। কিন্তু এখন সেখানেও সংকট হানা দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট আরও বেড়েছে।

ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে উদ্বৃত্ত তারল্য ৭৭.১৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫১৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে উদ্বৃত্ত তারল্য কমেছে ৫ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

গত বছরের সঙ্গে তুলনা করা হলে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে মার্চে উদ্বৃত্ত কমেছে ২৭.৮২ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৮৫ কোটি টাকা।

ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকের নগদ অর্থ, স্বর্ণ বা অন্যান্য সিকিউরিটিজ আমানতের বিপরীতে সাড়ে ৫ শতাংশ সমপরিমাণ এসএলআর এবং নগদ আমানতের ৪ শতাংশ সমপরিমাণ সিআরআর রাখতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের সঙ্গে তুলনা করা হলে চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ২০ কোটি টাকা বা ২.৭০ শতাংশ বেড়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা ২০২৩ সালের মার্চের চেয়ে ৪৪ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা বা ১০.৮১ শতাংশ বেশি।

এদিকে চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ৩ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা কম। তবে ২০২৩ সালের মার্চের চেয়ে ২৭ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা বা ৬.৭৬ শতাংশ বেশি।

ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪.৭৪ শতাংশ ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০.৪২ শতাংশ আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, এরপর ১০.২০ শতাংশ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং ৯.৬২ শতাংশ এক্সিম ব্যাংকের।

এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ৭.৩৮ শতাংশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ০.২৮ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৫.৮৮ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংক ৫.০৫ শতাংশ ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২.৯১ শতাংশ।