[ অনলাইন ] 01/11/2024
 
সমস্যায় থাকা কিছু ব্যাংক থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে না
সমস্যায় থাকা কিছু ব্যাংকের গ্রাহক উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় অর্থ উঠাতে পারছেন না। এতে করে আর্থিক সংকটে এসব কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এসব উদ্যোক্তার জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে সব পণ্যের ক্ষেত্রে একই সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক বিশেষ পর্যালোচনা সভায় এসব কথা  জানিয়েছেন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা। পর্যালোচনা করে ব্যবসায়ীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির, এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজামা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জানতে চাইলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর সমকালকে বলেন, মুদ্রা বিনিময়হার ব্যবস্থাপনাসহ বেশকিছু ব্যবসায়িক ইস্যুতে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে গেছে। রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ের পরিচালন ব্যয় কমাতে হবে। এ কারণে সরকারের নীতি ঘন ঘন পরিবর্তন করা যাবে না। একই সঙ্গে রপ্তানির সব খাতে সমানভাবে সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে। রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে অপ্রচলিত খাতকে অবশ্যই সমান প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে এনবিআরের সঙ্গে সমন্বিত কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রায় ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা স্বাভাবিক উৎপাদনে রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন করে কোনো সমস্যায় যেন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য আরও তৎপর থাকতে হবে। তাছাড়া কিছু ব্যাংকের সমস্যার কারণে যেসব কারখানার মালিক অর্থ উঠাতে পারছেন না, তাদের জন্য সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে বর্তমানে সমস্যায় থাকা সাতটি ব্যাংকের গ্রাহক উদ্যোক্তা বেশি সংকটে পড়েছেন। তাদের জন্য একটি বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল তাড়াতাড়ি করে দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।    

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা শিল্পের বিকাশে সরকারের নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তারা বেসরকারি খাতের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু, ওষুধ, চামড়া, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের সাথে সম্পর্কিত পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানোসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে সব কিছু করা সম্ভব নয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজ হোক, কাল হোক রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাজনৈতিক সরকার আসবে। বর্তমান সরকার যতটুকু সময় আছে দেশের জন্য কাজ করে যাবে। খাদ্য, জ্বালানি, সার ও কীটনাশক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কাজ করছে।