[ অনলাইন ] 01/11/2024
 
ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় আটকে মুক্তিপণ দাবি, নারী গ্রেফতার
কৃষি ভিসায় ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে পরিবারের কাছে থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এই অভিযোগে মানবপাচার চক্রের সদস্য সন্দেহে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানার সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতের নাম  কল্পনা বেগম (৩৬)।

বুধবার (৩০ অক্টোবর ) দিবাগত রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাসিন্দা বাদী মো. নুরুল ইসলাম বেপারী গত ২ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

IMG-20241031-WA0023গ্রেফতার কল্পনা বেগম

মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গ্রেফতার কল্পনা বেগম ও তার সহযোগীরা কৃষি ভিসায় ইতালি পাঠানোর কথা বলে নুরুল ইসলামকে প্রলুব্ধ করে। তাদের প্রলোভনে ইতালি যাওয়ার জন্য সম্মত হয়ে বাদী তাদের পাসপোর্ট দেন। এর কয়েকদিন পর চক্রের সদস্যরা বাদীকে জানায় যে তার ভিসা হয়েছে। তাদের কথা মতো তাদের ১০ লাখ টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর মানবপাচার চক্রের সদস্যরা ভিকটিম নুরুল ইসলামকে প্রথমে দুবাই ও পরে লিবিয়া নিয়ে যায়। সেখানে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য জামির ও ইসমাইল ভিকটিমকে ইতালি না পাঠিয়ে জিম্মি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।

তারা ভিকটিমের স্ত্রীকে ফোন করে জানায়, বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইলে কিংবা ইটালি যেতে চাইলে দেশে থাকা তাদের সদস্য আব্দুল লতিফের কাছে আরও ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। বাধ্য হয়ে ভিকটিমের স্ত্রী জমি বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা দেশে থাকা পাচারকারী চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ও বিকাশের মাধ্যমে পাঠান। টাকা পাওয়ার পরও তারা ভিকটিমকে দেশে বা ইতালি পাঠায়নি। পরবর্তীতে গত ১১ জুন  লিবিয়া পুলিশের সহায়তায় ছাড়া পেয়ে ভিকটিম দেশে ফিরে আসেন।

গ্রেফতার কল্পনা বেগম বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ডিসি।