[ অনলাইন ] 24/11/2024 |
|
|
|
বড় আশা নিয়ে আসছে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি
|
|
|
৭ বিভাগীয় দলের সঙ্গে ঢাকা মেট্রো; এই ৮ দল নিয়ে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণ শুরু হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে। শনিবার জমকালো আয়োজনে লোগো উন্মোচন করা হয়েছে এনসিএল টি-২০ এর। আসরের টাইটেল স্পনসর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এছাড়াও সহযোগী স্পন্সর হিসেবে আছে ওয়ালটন ও রিমার্ক।
ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বাইরে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে ক্রিকেট বোর্ডের এক বা একাধিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট থাকে বার্ষিক সূচিতে। ছিল না শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। ২০১০ সালে এনসিএল টি-টোয়েন্টি নামের একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল যা পরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রূপ নেয়। এছাড়াও নানান সময়ে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি এবং বঙ্গবন্ধু টি-২০ সহ স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ কিছু অনিয়মিত আয়োজন হয়েছে গত দেড় দশকে। কিন্তু কোনোটিই স্থায়িত্ব পায়নি। একদিকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হতশ্রী অবস্থা, অন্যদিকে বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের ওপর অতিনির্ভরতা, এই দুইয়ের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা সামনে এনেছেন ঘরোয়া পর্যায়ে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেলাটাকেই। ফারুক আহমেদ বিসিবি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা বাড়ানোর কথা। তারই অংশ হিসেবে এই বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে যুক্ত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, এনসিএল টি-২০। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জমকালো আয়োজনে হয়ে গেল আসরটির লোগো উন্মোচন। ডিসেম্বরের ১১ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত হবে এই টি-টোয়েন্টি আসর যা এরই মধ্যে আইসিসির স্বীকৃতিও পেয়েছে। গ্রুপপর্বের খেলাগুলো হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই মাঠে, ফাইনাল ঢাকায় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
অতীতে নানান আয়োজনে অনেক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শোনা গেলেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাগুলোর কোনোটারই পুনরাবৃত্তি হয়নি। এবারও কি সেই পরিণতি হবে কি না এমন প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক ফাহিম সিনহা জানিয়েছেন, ‘পৃষ্ঠপোষকরা পাশে থাকলে খেলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব। আগে মূলত ক্লাবগুলোর অনাগ্রহের কারণে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেত না। এবার সেই পরিস্থিতি নেই। যখন এনসিএল টি-২০ চলবে তখন জাতীয় দল থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে, এখন যেমন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে আর অন্যদিকে জাতীয় দল টেস্ট খেলছে। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন একটি টি-২০ লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। বিপিএলের আগে টুর্নামেন্টটি দেশি ক্রিকেটারদের প্রমাণের মঞ্চ। আশা করি, ‘তারা সেই সুযোগ নেবে ও নিজেদের মেলে ধরবে।’
টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফরমান আর চৌধুরি জানান, ‘খেলাধুলার গুরুত্ব অনুধাবন করে অতীতে আমরা ম্যারাথন, কাবাডি, হকি স্কোয়াশসহ অনেক খেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছি, এরই ধারাবাহিকতায় এনসিএল ক্রিকেটে।’
ম্যাচগুলোর বেশিরভাগই হবে সিলেটে, সেখানে গ্রুপ পর্বের রাউন্ড রবিন লিগের পর ঢাকায় প্লে-অফ পর্বের চারটি ম্যাচ। সিলেটের বেশিরভাগ ম্যাচই হবে দিনের আলোয়, ঢাকায় ফ্লাডলাইটে। তামিম ইকবালকে দেখা যাবে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলতে, বগুড়ার ছেলে মুশফিকুর রহিম খেলবেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। |
|