[ অনলাইন ] 24/11/2024
 
ব্যাংকিং খাতে সংস্কার এবং এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব
এম এ মাসুম: বিগত ১৫ বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যক্ষ মদদে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কয়েক লক্ষ্য কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে; যার খেসারত দিচ্ছেন ব্যাংকগুলোর সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও ব্যাংকের প্রতি মানুষের সম্পূর্ণ আস্থা ফিরছে না। নিজের টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে না পারায় অনেক গ্রাহকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপরদিকে তীব্র তারল্য সংকটের কারণে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারছেন না। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় অনেক শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তা মারাত্নক মানসিক চাপে পড়ে গেছেন। অনেক কর্মকর্তার অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গ্রাহকদের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কয়েকজন ব্যাংক ম্যানেজারদের অসহায়ত্য ও কান্নার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। ফলে বহু সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যাংকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মারাত্মক মানসিক হেনস্তার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন। ইতোপূর্বে বাংলাদেশে এক সঙ্গে এতগুলো ব্যাংককে তারল্য সংকটে পড়তে দেখা যায়নি।

সাবেক আমলা ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নরের দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যাংক খাতের অবস্থা ক্রমেই ভঙ্গুর থেকে ভঙ্গুরতর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক এই দুই গভর্নর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে পুরো ব্যাংক খাত বলতে গেলে মাফিয়া চক্রের হাতে চলে গেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নররা যেসব নীতিমালা গ্রহণ করেছেন সেগুলোর অধিকাংশই ব্যাংকিং আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অগ্রহণযোগ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেসব ভালো চর্চাগুলো ছিল সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে অথবা নতুন নিয়ম তৈরি করে প্রতিনিয়ত বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার আয়োজন করেছেন তারা। অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে বিশেষ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রসারে কাজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও কয়েকটি ব্যাংকের এমডির পলায়নের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের আর্থিক খাতে এক লজ্জাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা তার শাসনামলে দেশটির একটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্যের সঙ্গে যোগসাজশ করে ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সরিয়েছেন। ব্যাংক থেকে টাকা লোপাট এতটাই সহজ ছিল যে, বাসার কাজের বুয়া, বাবুর্চির হিসেবেও কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এই লোপাটের সময় এ দেশের অত্যন্ত প্রতাপশালী পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয়সহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ও তাদের দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে দর্শকের মতো শুধু হাততালি দিয়েছেন আর দুর্নীতিমুক্ত একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ উপহার দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মশকরা করেছেন।

ব্যাংক খাতের দুর্বলতার সবচেয়ে আশঙ্কাজনক নির্দেশক হলো, গত ১৫ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত খেলাপি ঋণ (এনপিএল)। ২০০৯ সালে ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা, যা বেড়ে মার্চ ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। সংখ্যাটি আসলে আরও অনেক বেশি। খেলাপি ঋণের হিসাব নিয়েও চলে একধরনের লুকোচুরি। খেলাপি ঋণের বৃহৎ অংশই কৌশলে কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখ হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণকৃত মোট প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে দুর্দশাগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা যা মোট ঋণের প্রায় ৩২ শতাংশ। এসব ঋণের অধিকাংশই বিদেশে পাচার হয়েছে যা কখনোই আদায় হওয়ায় সম্ভাবনা নেই।

ইতোপূর্বে বহুবার ব্যাংক সংস্কারের কথা শুনা গেছে কিন্তু সংস্কারের পরিবর্তে উল্টো ব্যাংক লুটের মহড়া দেখা গেছে। অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে দেশের বরেণ্য অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক যা অত্যন্ত ইতিবাচক সংবাদ। ব্যাংকের কোন কোন খাতে অধিক গুরুত্বের সঙ্গে সংস্কার করা প্রয়োজন সে লক্ষ্যে কয়েকটি প্রস্তাবÑ১. বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে দেওয়া জরুরি। দ্বৈত অভিভাকত্ব পরিহার করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে ব্যাংকিং বিভাগ চালু আছে, তা স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করা দরকার। ফলে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হবে। সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করবে একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক; ২. সৎ, নিষ্ঠাবান, ব্যাংক ও আর্থিক বিষয়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং পেশাদার ব্যক্তি গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর না হলে দক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যাশা করা যায় না। তাই বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এবং অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্বচ্ছ পক্রিয়ায় গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন; ৩. সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকের কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যাংকারদের মাধ্যমেই দুর্নীতির বীজ বপন হয় এবং তারা সব ধরনের ব্যাংকিং রীতিনীতির ঊর্ধ্বে অবস্থান করেন। একসময় বেসরকারি ব্যাংকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সারা দেশ থেকে মেধাবী কর্মী নিয়োগ করা হতো।

কিন্তু সাম্প্র্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে বিশেষ অঞ্চলকে বেছে নিয়ে অদক্ষ কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ার ফলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনা বহুমাত্রিক আকার ধারণ করে। অনেক ব্যাংক নিয়োগ প্রকৃয়ার ন্যূনতম নীতিমালা অনুসরণ না করেই হাজার হাজার অযোগ্য কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। ফলে বর্তমানে অনেক বেসরকারি ব্যাংকে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই কর্মী নিয়োগে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও সরকারি ব্যাংকের ‘ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটি (বিআরসি)’ এর আদলে ‘বেসরকারি ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটি (বিবিআরসি)’ অথবা এ ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া স¤পন্ন করা উচিত। এটি সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে অথবা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সমন্বয়েও গঠিত হতে পারে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; ৪. আগামী ১৫ বছরের মধ্যে নতুন করে আর কোনো ব্যাংকের অনুমোদন না দেয়া; ৫. ব্যাংকের প্রত্যেক গ্রাহক বিশেষ করে ঋণ গ্রাহকের বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো একটি ইউনিক আইডি সৃষ্টি করবে যার অধীনে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের সকল ব্যাংকের হিসাব পরিচালিত হবে। ফলে সকল ব্যাংকের গ্রাহকের লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং করা সহজ হবে; ৬. এক ব্যক্তি বা গ্রুপের হাতে একাধিক ব্যাংকের মালিকানা প্রদান শক্ত হাতে বন্ধ করতে হবে; ৭. গ্রুপ নয় একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনায় নিয়ে একক ঋণসীমা নির্ধারণ করতে হবে; ৮. গ্রুপের সর্বোচ্চ ঋণসীমা উল্লেখ থাকতে হবে; ৯. একই পরিবার থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে একজন পরিচালক এবং মেয়াদ পরপর সর্বোচ্চ দুবার থাকতে পারবে; ১০. ভয়াবহ লোপাটের মাধ্যমে যেসব ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকে পরিণত হয়েছে তাদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তহবিলসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা দিতে হবে; ১১. অর্থ পাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ ও কার্যকর করতে হবে; ১২. সিআইবির ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে থাকতে হবে; ১৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদশর্র টিমকে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ও শক্তিশালী করতে হবে; ১৪. এক ব্যাংকের পরিচালক যাতে অন্য ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ঋণ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে; ১৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে ড্যাশবোর্ডের মতো আমদানিতব্য মালের মূল্য যাচাইকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে; ১৬. একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ নিতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের ব্যবস্থা থাকা উচিত; ১৭. অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিপৎগ্রস্ত ব্যাংকে সহায়তা করা উচিত নয়। একটা সময় অন্য ব্যাংকের সঙ্গে মার্জনা করা উচিত; ১৮. ঋণ খেলাপিদের তালিকা সময়ে সময়ে জনসম্মুখে প্রকাশ, পাসপোর্ট তলব, কালো তালিকাভুক্ত করে রাষ্ট্রীয় উচ্চ সুবিধা হতে বঞ্চিত করা। খেলাপীদের জন্য স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে; ১৯. খেলাপি ঋণ বেশি হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঋণ থেকে। বিশেষ করে ব্যাক টু ব্যাক (বিবি) এলসির ক্ষেত্রে মালামাল সরবরা না করেই শুধু ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে টাকা বের করে নেয়া অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

বিবি এলসি প্রক্রিয়ার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ লোপাট ও অর্থ পাচারের আশঙ্কা করা হয়। কাজেই বিবি এলসির বিপরীতে শতভাগ পণ্য যাতে সংশ্লিষ্ট রপ্তানি এলসি/চুক্তির বিপরীতে রপ্তানি স¤পন্ন হয় সে ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করতে হবে। তবে শুধু ব্যাংক নয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন; ২০. ব্যাংক খাতে অন্যতম সমস্যার মূলে রয়েছে পর্বতপ্রমাণ খেলাপি ঋণের উপস্থিতি। এ খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মামলা দ্রুত নি®পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে; ২১. অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকগুলোর লোপাটের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। এসব লোপাটকারী এবং এদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; ২২. অনেক ব্যাংকের সটফওয়্যার কারসাজির মাধ্যমে প্রভাবশালীদের ঋণের সুদ কম দেখানো বা সুদ সৃষ্টি না হওয়া অথবা ঋণের বিবরণী মুছে ফেলার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই সব ব্যাংকের একটি ইউনিক সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঋণের সব তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারে সংরক্ষণ করা উচিত; ২৩. ক্রেডিট রিপোর্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডার্ড মানদণ্ড নির্ধারণ দেয়া প্রয়োজন; ২৪ দেশের সব জেলা থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনা থাকতে হবে।

ব্যাংক খাতের বহুবিধ অনিয়ম দুর্নীতির কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও বড় রাঘব বোয়ালারা এখন পর্যন্ত ধরা ছোঁয়ার বাইরেই আছে। সংস্কার কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হতে হবে ব্যাংক খাতের সমস্যা চিহ্নিত ও দূরীকরণের মাধ্যমে এ খাতকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। সংস্কারের মাধ্যমে ব্যাংক খাতে ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও এ দেশের সাধরণ মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে সহায়ক হবে বলেই প্রত্যাশা।