[ অনলাইন ] 24/11/2024
 
দেড় দশক পর এনসিএল টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ছাড়া খুব একটা কদর পায় না কোনো টুর্নামেন্ট। তবে এবার নতুন কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ঢালিউড তারকাদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উন্মোচন হয় এনসিএল টি-টোয়েন্টির স্পন্সর ও লোগো। যদিও দুজন ঢালিউড তারকা এসেছিলেন দুটি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হয়ে।

বিপিএলের পর ক্রিকেটারদের চাওয়া ছিল আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের চাকচিক্যে দেশি ক্রিকেটাররা নিজেদের তুলে ধরতে পারছিলেন না ঠিকঠাক। তাই কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণে আরেকটা সুযোগ চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেটি ভেবেই জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিরছে ১৫ বছর পর।

২০১০ সালে সবশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এনসিএল টি-টোয়েন্টি। এরপর নানা সময়ে বিভিন্ন নামে টি-টোয়েন্টির আসর গড়ালেও এবার এনসিএল নামেই ফিরছে। ২০১৩ সালে বিজয় দিবস কাপ টি-টোয়েন্টি, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ, ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি লিগ অনুষ্ঠিত হয়।

এবার সাতটি বিভাগীয় দলের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোকে নিয়ে আগামী ১১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজন করা হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আসর। প্রতিযোগিতার ১৮টি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও ছড়িয়ে যাবে এই টুর্নামেন্ট। ভারতের অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ফ্যানকোড সরাসরি সম্প্রচার করবে ম্যাচগুলো।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। ময়মনসিংহ থাকছে না এই আসরে। লিগ পর্বে প্রতিটি দলই মুখোমুখি হবে একে অপরের। এই পর্বের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে। এরপর প্লে-অফ ও ফাইনাল হবে মিরপুরে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

টুর্নামেন্টের পাওয়ার স্পন্সর হিসেবে থাকছে ওয়ালটন গ্রুপ। এ ছাড়া প্লাটিনাম স্পন্সর আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং সিলভার পার্টনার রিমার্ক-হারল্যান। শনিবার বিকালে জমকালো আয়োজনে উন্মোচন করা হয় ‘আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এনসিএল টি-টোয়েন্টি পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন’-এর লোগো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক ফাহিম সিনহা, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফারমান আর. চৌধুরী, ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম খান ও রিমার্ক-হ্যারল্যান গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চলচ্চিত্র তারকা সিয়াম আহমেদ।

এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘বিপিএলের আগে এই টুর্নামেন্ট দেশি ক্রিকেটারদের প্রমাণের মঞ্চ। আমি আশা করি ক্রিকেটাররা সে সুযোগ নেবে এবং নিজেদের মেলে ধরবে। যা কিনা দেশের ক্রিকেটকে সাহায্য করবে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে।’

দেশি ক্রিকেটারদের উন্নতি ঘটাতে এই টুর্নামেন্ট প্রতি বছর আয়োজন হবে বলেও জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিপিএলের বাইরে কমপক্ষে একটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এখন থেকে প্রতি বছরই বিপিএলের আগে মাঠে এভাবে গড়াবে। যেখানে অংশ নেবে শুধু স্থানীয় ক্রিকেটাররা। আমরা সবসময় বলি দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়রা একসঙ্গে খেললে ড্রেসিংরুম শেয়ার করবে, কিছু শিখতে পারবে। কিন্তু সেই বিদেশি খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলার আগে যে প্রস্তুতি, এটা খুব ভালোভাবে সম্পূর্ণ হবে এই টুর্নামেন্টে।’

সিলেট বিভাগ
জাকির হাসান (উইকেটরক্ষক), তৌফিক খান তুষার, মিজানুর রাহমান সিয়াম, পিনাক ঘোষ, অমিত হাসান, তৌহিদুল ইসলাম, রিহাদ হাসান, আবদুল্লাহ আল গালিব, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, ওয়াসিফ আকবর, রাহাতুল ফেরদৌস, তোফায়েল আহমেদ, নাবিল সামাদ, নাইম আহমেদ, নাইম হোসেন সাকিব, এবাদত হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রেজাউর রাহমান, আবু জায়েদ, আল ফরহাদ

বরিশাল বিভাগ
ইফতেখার হোসেন, মইনুল ইসলাম, রাফসান আল মাহমুদ, আবদুল মজিদ, ফজলে রাব্বি, সালমান হোসেন ইমন, মো. নুরুজ্জামান, শামসুল ইসলাম (উইকেটরক্ষক), জাহিদুজ্জামান সাগর, সোহাগ গাজী, রবিউল ইসলাম, মইন খান, তানভির ইসলাম, অভি আহমেদ, জাহিদুল হক, কামরুল ইসলাম, রুয়েল মিয়া, মেহেদি হাসান রানা, মহিউদ্দিন তারেক, নুর মোহাম্মদ

রংপুর বিভাগ
মোহাম্মদ রিজওয়ান, মিম মোসাদ্দেক (উইকেটরক্ষক), খালেদ হাসান, মনিরুল ইসলাম, নাইম ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, আকবর আলী, তানভীর হায়দার, জাকিরুল জেম, আরিফুল হক, আলাউদ্দিন বাবু, রবিউল হক, মাহিদুল হাসান, আবু হাশেম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, লিউন ইসলাম, এনামুল হক, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, আসাদুল্লাহ গালিব, আবদুল গাফফার

রাজশাহী বিভাগ
নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মিজানুর রহমান, সাব্বির হোসেন, হাবিবুর রহমান, বিশাল চৌধুরী, রহমত আলী, সাব্বির রাহমান, মেহরাব হোসাইন, প্রিতম কুমার (উইকেটরক্ষক), সাকির হোসাইন (উইকেটরক্ষক), গোলাম কিবরিয়া, ফরহাদ রেজা, মুক্তার আলী, সানজামুল ইসলাম, নিহাদুজ্জামান, ওয়াসি সিদ্দিকি. শরিফুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান পায়েল, শফিকুল ইসলাম, আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ, মোহর শেখ

খুলনা বিভাগ
এনামুল হক, ইমরুল কায়েস, হাসানুজ্জামান, অমিত মজুমদার, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, মিথুন (উইকেটরক্ষক), শেখ মাহাদি, জিয়াউর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, জাওয়াদ রোয়েন, পারভেজ রাহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, টিপু সুলতান, জায়েদউল্লাহ, আবদুল হালিম,  আশিকুজ্জামান, মাসুম খান তুতুল, আল আমিন হোসেন

ঢাকা মেট্রো
নাইম শেখ, সাদমান ইসলাম মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম রবিন, ইমরানুজ্জামান (উইকেটরক্ষক), মুনিম শাহরিয়ার, শামসুর রহমান শুভ, আইচ মোল্লা, মার্শাল আইয়ুব, আল আমিন জুনিয়র, গাজী তাজিবুল (উইকেটরক্ষক), রাকিবুল হাসান, আলিস আল ইসলাম, আরাফাত সানি, আবু হায়দার, শহিদুল ইসলাম, মারুফ মৃধা, আনিসুল ইসলাম ইমন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

চট্টগ্রাম বিভাগ
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, মো. সাব্বির হোসেন শিকদার, সাদিকুর রহমান, শাহাদাত হোসেন দিপু, ইয়াসির আলী, ইফরান শুক্কুর (উইকেটরক্ষক), শামিম পাটোয়ারী, সাদ্দাম হোসেন, সাজ্জাদুল হক রিপন, মুমিনুল হক, নাইম হাসান, আশরাফুল হাসান রোহান, এনামুল হক আশিক, ইফরান হোসাইন, ফাহাদ হোসাইন, আহমেদ শরিফ, হাসান মাহমুদ, মো. সাইফুদ্দিন, মো. শহিদ

ঢাকা বিভাগ
সাইফ হাসান, রনি তালুকদার, আশিকুর রহমান (উইকেটরক্ষক), জিসান আলম, জয়রাজ শেখ, মাহিদুল ইসলাম, মোসাদ্দেক সৈকত, আরিফুল ইসলাম, শুভাগত হোম, তাইবুর রহমান, আহরার আমিন পিয়ান, নাজমুল ইসলাম, মেহেদি হাসান, রাকিবুল আতিক, মাহফুজুর রাহমান, সুমন খান, সালাউদ্দিন সাকিল, রিপন মণ্ডল, তৌফিক আহমেদ, এনামুল হক