[ অনলাইন ] 03/12/2024 |
|
|
|
সব ব্যাংকের মালিকানার তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
|
|
|
প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংকের মালিকানা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকে দুই শতাংশ এবং তার বেশি শেয়ারহোল্ডারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠাতে হবে।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) সম্পর্কিত নির্দেশ সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
এ নির্দেশ বাস্তবায়নে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), কোম্পানি সচিব ও শেয়ার বিভাগের প্রধান কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালন ও জবাবদিহিতার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে।
নির্দেশনার সঙ্গে আলটিমেট বেনিফিসিয়াল ওনারস (ইউবিও) অ্যান্ড ডিসক্লোজার অব ওনারশিপ স্ট্রাকচার অব ব্যাংকস শিরোনামে একটি গাইডলাইনও পাঠানো হয়েছে।
কোনো ধরনের অসহযোগিতা ও তথ্য লুকানো হলে এমডি ও সিইও, কোম্পানি সচিব ও শেয়ার বিভাগের প্রধানকে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে নির্দেশনায়।
নির্দেশে আরও বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংক তার পরবর্তী পর্ষদ সভায় এ বিষয়টি উত্থাপন করে সংশ্লিষ্টদের জানাবে। এ সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক তথ্যসহ প্রথম প্রতিবেদন আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে বাধ্যবাধকতার কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর মালিকানা সম্পর্কিত আপডেট দেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে।
বিআরপিডি’র নির্দেশ সম্বলিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকের মালিকানায় অস্বচ্ছতা থাকায় আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রমও যথাযথভাবে পরিপালন করা যাচ্ছে না। এছাড়া মালিকানায় বহুবিধ স্তর থাকায় ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিংবা প্রতিনিধি চিহ্নিত করতে অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকের আর্থিক স্বচ্ছতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান এ পরিস্থিতি সামগ্রিক অর্থে ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের মালিকানা চিহ্নিতকরণে আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে নতুন নির্দেশ দিয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যাংকের মালিকানায় নানাভাবে একই পরিবারের প্রভাব সৃষ্টির কারণে ব্যাংক খাতের বিপুল পরিমাণ আমানত বা গ্রাহকের অর্থ বাইরে চলে গেছে। ঋণের নামে ব্যাংক থেকে নেওয়া এই অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংক খাতের সংস্কারে কাজ করছে। এ প্রক্রিয়ার শুরুতে অভিযুক্ত ১০ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ওইসব ব্যাংকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পর্ষদ গঠন করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক অবস্থা, ঋণ ও বিনিয়োগ, খেলাপি ঋণ এবং আমানত সম্পর্কে নিরপেক্ষ নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। |
|