[ অনলাইন ] 19/03/2025 |
 |
|
|
ঋণমান প্রকাশ করেছে তিন কোম্পানি
|
|
|
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে যথাক্রমে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল) ও আরগুস ক্রেডিট সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘ডি’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৬’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৮৫ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ২৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৯৭ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৭৩ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান)। আর আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৭ পয়সা।
আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি মাইনাস’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৪’। ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ক্রিসেল। কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৫৯ কোটি ৯২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ২৫ কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ২২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৬৬ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার।
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি মাইনাস’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের রিজার্ভে রয়েছে ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬০ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৮৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ পয়সা। |
|