[ অনলাইন ] 12/07/2025
 
জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ৮ লুটেরার বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত শুরু
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ৮ লুটেরার বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে এই তদন্ত করছে জনতা ব্যাংক। পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো, এস আলম, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, থার্মেক্স, বিসমিল্লাহ, ক্রিসেন্ট ও রানকা এই তালিকায় আছে। ক্ষমতার জোরে এসব গ্রুপ ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়। ফলে বর্তমানে জনতা ব্যাংকের মোট ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশই খেলাপি।

এই ঋণের বড় একটি অংশই মঞ্জুর করা হয় আবুল বারকাত চেয়ারম্যান থাকার সময়। অ্যাননটেক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ২৯৭ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের শীর্ষ ৮ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের ঋণ, অনিয়ম ও অর্থ লুটের অনুসন্ধানে ফাংশনাল অডিটের নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এসব ঋণগ্রহীতা গ্রুপের অনুকূলে ব্যাংকের নিজস্ব ক্রেডিট পলিসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রুভেনশিয়াল রেগুলেশন্স ও বিভিন্ন সময়ে দেওয়া নির্দেশনা এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ লঙ্ঘনপূর্বক অনিয়ন্ত্রিতভাবে পর্ষদ কর্তৃক ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবার পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াও ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং ঋণের প্রকৃত চিত্র গোপনের লক্ষ্যে ব্যাংকিং নিয়মাচার পরিপন্থী বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ এবং ঋণের প্রকৃত তথ্য গোপনের ক্ষেত্রে শাখা, প্রধান কার্যালয় ও পর্ষদসহ নির্বাহী পর্যায়ের দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করার জন্য ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে একটি অডিট ফার্মের মাধ্যমে ফাংশনাল অডিট সম্পাদন করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চিঠিতে ফাংশনাল অডিটের অগ্রগতি প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক থেকে কোনো গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ, মূল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও আদায়ের প্রক্রিয়া যাচাই করাই হলো ফাংশনাল অডিট। এ ধরনের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণে যেসব নির্বাহী ও কর্মকর্তা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি ঋণের গতিপথ বের করা হয়। ফাংশনাল অডিট রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

‎জনতা ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবর রহমান আমার দেশকে বলেন, ৮টি গ্রুপের বিরুদ্ধে ফাংশনাল অডিটের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি কমিটি করে কাজ শুরু করেছি। অনেক বড় বড় ফাইল অডিট কার্যক্রম শেষ হতে একটু সময় লাগবে। এর আগেও আমরা কিছু গ্রুপের বিরুদ্ধে ফাংশনাল অডিট করেছি। তিনি বলেন, এসব গ্রুপ ব্যাংকের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছে। এর থেকে এত দ্রুত উত্তরণ সম্ভব নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি।

মজিবর রহমান আরো বলেন, ‘আমি আসার পর প্রথমে ব্যাংককে দৈনিক ২১ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হতো। এখন তা কমে ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আমানতও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকের কোনো গ্রাহক এসে টাকা ছাড়া ফেরত যায়নি।’

খেলাপির পাহাড়

চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৭০ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছরের জুনে খেলাপি ঋণ ছিল ৪৮ হাজার কোটি টাকা। মাত্র ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২২ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা।

ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত আগস্টে শেখ হাসিনার পলায়নের পর থেকে ব্যাংকটির খেলাপি দ্রুত বেড়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে, যা আগে নিয়মিত দেখানো হতো। এসব ঋণ পরিশোধ না করার কারণেই দ্রুত খেলাপি বাড়ছে।

কোন গ্রুপের কত ঋণ

জনতা ব্যাংকের ঋণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কয়েকটি বড় ঋণগ্রহীতার মধ্যে কেন্দ্রীভূত। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রাহক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ। ব্যাংকটির ঋণে একের পর এক নতুন কোম্পানি খুলেছে বেক্সিমকো এবং তার অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান। কিন্তু ঋণ শোধ সেভাবে করেনি গ্রুপটি। বর্তমানে সালমান এফ রহমান কারাগারে থাকায় ঋণ আদায় নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আগ্রাসী কায়দায় ব্যাংকটি থেকে ঋণ নেয় বেক্সিমকো গ্রুপ। ২০২১ সালে জনতা ব্যাংকে বেক্সিমকোর ঋণ ছিল ১৪ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা, এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩ কোটি টাকাই এখন খেলাপি।

বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক সে সময় চাপে পড়ে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি। সালমান এফ রহমান চাওয়ামাত্রই ঋণ দেওয়া হয়েছে। একক ঋণসীমা অতিক্রম হওয়ার পরও ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন ঋণ দেয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানা হয়নি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রায় ৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দেওয়া হয় সালমানের প্রতিষ্ঠানকে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকটির ২০২৩ সালে এমওইউ চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী স্থানীয় কার্যালয়সহ পাঁচটি শাখার ঋণের পরিমাণ ব্যাংকের মোট ঋণের ৩০ শতাংশের নিচে নামানোর নির্দেশনা ছিল। তবে ব্যাংক বেক্সিমকো গ্রুপকে নতুন ঋণ সুবিধা দিয়ে তা লঙ্ঘন করে।

তা ছাড়া তারল্য পরিস্থিতি ও প্রতিষ্ঠানের ঋণঝুঁকি বিবেচনায় না নিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় ব্যাংকটি। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রকৃত খেলাপি ঋণ আড়াল করে। আবার বেক্সিমকো গ্রুপ খেলাপি প্রতিষ্ঠান হলেও তাদের অনুকূলে নতুন ঋণ দেয় জনতা ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পরিপন্থী কাজ। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের জায়গায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ নেওয়ার মতো নজিরও খুঁজে পাওয়া যায় অনুসন্ধানে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকটি থেকে নিয়মনীতি না মেনে টাকা বের করার জন্য নিজের পছন্দের চেয়ারম্যান এবং এমডি নিয়োগ দিতেন সালমান এফ রহমান। পছন্দ না হলে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ব্যাংকে যোগদান করতে দিতেন না। কেউ যোগদান করে ফেললেও অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করাতেন সালমান।

বেক্সিমকো ছাড়া ব্যাংকটির শীর্ষ আরেক গ্রাহক শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ, যার চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ। ব্যাংকটিতে এস আলম গ্রুপের ঋণ ১১ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকাই খেলাপি। এ ব্যাংকে ওরিয়ন গ্রুপের ঋণ রয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম। এছাড়া চামড়া খাতের আলোচিত ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিন হাজার ৫১ কোটি টাকা, যার পুরো ঋণই এখন খেলাপি। রানকা গ্রুপের ঋণ রয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বসুন্ধরা গ্রুপের এক হাজার ২৯ কোটি টাকা, থার্মেক্স গ্রুপের ঋণ ২ হাজার ১১৭ কোটি টাকা এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৫৫৮ কোটি টাকা।

ধ্বংস যেসব চেয়ারম্যান ও শীর্ষ নির্বাহীর হাতে

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল বারকাতকে। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার সময় এননটেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপকে উদারহস্তে ঋণ দেয় ব্যাংকটি।

এরপর ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন ওই সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান। ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন সালমান এফ রহমানঘনিষ্ঠ দোহা টেকের লুনা শামসুদ্দোহা। ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন আহমেদ।

২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এসএম মাহফুজুর রহমান। তার সময় বেক্সিমকো গ্রুপ ব্যাংকটি থেকে ইচ্ছামতো ঋণ বের করে নেয়।

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা নিয়োগ পান। ওই সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলরাম পোদ্দার, নাগিবুল ইসলাম দীপু, মো. আবু নাসের ও মো. মাহবুবুর রহমান হিরন ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন। দলীয় লোকদের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন পেশাদার সদস্যরাও। এছাড়া সরকারের আমলা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও পর্ষদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তাদের কেউ-ই প্রভাবশালীদের ঋণ আটকাতে পারেননি। ফলে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা দিন দিন শুধু খারাপই হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের টানা শাসনামলে ব্যাংকটির এমডির দায়িত্বে ছিলেন এসএম আমিনুর রহমান, মো. আবদুস সালাম, আবদুছ ছালাম আজাদ ও আবদুল জব্বার। আমিনুর রহমান ও আবদুস সালাম দুজনই চাকরি শেষে যোগ দেন এস আলম গ্রুপের দুই ব্যাংকে। আবদুছ ছালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও শীর্ষ তিন খেলাপি গ্রাহকের তদবিরে তাকে এমডি করে সরকার।

দুই শাখা থেকে বের হয় বেশির ভাগ ঋণ

জনতা ব্যাংকের বেশির ভাগ ঋণ দেওয়া হয় লোকাল অফিস ও করপোরেট ভবন শাখা থেকে। এ দুই শাখার ঋণই বেশির ভাগ খেলাপি। ব্যাংকটির লোকাল অফিসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা এবং করপোরেট ভবন শাখার খেলাপি ১১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। যদিও এসব শাখার দায়িত্ব পালনকারী কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শুধু এ শাখার কর্মকর্তা নয়, বরং পুরো ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত ছিলেন, তাদের কারো বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রেকর্ড লোকসানে ব্যাংক

নিট সুদ আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় ২০২৪ সালে জনতা ব্যাংক পিএলসি ব্যাপক লোকসানে পড়ে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা লোকসানে পড়ে। অথচ এর আগের বছর ব্যাংকটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী অনুসারে, ২০২৪ সালে এর শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৩২ টাকা ৫১ পয়সায়, যেখানে ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৬৮ পয়সা।

গত বছর ব্যাংকটির নিট সুদ লোকসানের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৪২ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে নিট সুদ আয় ছিল ২৮২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর্থিক লেনদেনের আলোকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ চলতি বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।