[ অনলাইন ] 14/07/2025
| |
|
সাবেক এমপি ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
|
|
|
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ১২টি ব্যাংক হিসাবে শত কোটি টাকার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন করেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদক পরিচালিত অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য। এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ–সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১–এ ফজলে করিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নামে ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের মধ্যে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকা। বাকি ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকা মূল্যের সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। অর্থাৎ তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন।
এজাহারে আরো বলা হয়, আসামি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী মানি লন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে ১২টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনকভাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২ টাকা জমা ও ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকা তিনি উক্ত ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, ফজলে করিম চৌধুরী সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এরপর থেকে কারাগারে আছেন। |
|