পেশায় ফটোকপি দোকানের কর্মচারী আরিফ ব্যাপারী (২০)। প্রথমে নিজের আয়ের
টাকায় জাল টাকা তৈরির মেশিন কেনেন। এরপর রাজমিস্ত্রি অনিক ও পদ্মা নদীর
জেলে জাহিদকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন জাল টাকা তৈরির চেষ্টা।
ইউটিউব
দেখে দেখে দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সফল হন তারা। এরপর সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে কম দামে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট
দিয়ে সংগ্রহ করেন ক্রেতা। ৭-৮ দিন আগে তারা ১২ লাখ টাকার একটি জাল নোটের
চালান সরবরাহ করেন। এখান থেকে তারা আয় করেন দেড় লাখ টাকা।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে জাল টাকা চক্রের এই
তিন সদস্যকেই গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব বলছে, ঈদুল ফিতরকে টার্গেট
করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল
চক্রটি।
গ্রেপ্তার
হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জালনোট তৈরি ও ব্যবসায়ী চক্রের হোতা মো. আরিফ
ব্যাপারী (২০), তার অন্যতম প্রধান সহযোগী ও চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. জাহিদ
(২৩) ও অনিক (১৯)।