Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
গবেষণা না করে ব্যয় দেখিয়ে অর্থআত্মসাত বন পরিচালকের [ অনলাইন ] 17/04/2024
গবেষণা না করে ব্যয় দেখিয়ে অর্থআত্মসাত বন পরিচালকের
বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে গবেষণা না করে অর্থ ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরু করেছে। সংস্থাটির দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের টেবিলে থাকা অভিযোগে বলা হয়, ড. রফিকুল হায়দার নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় 'বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন' শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। তিনি ডিপিপিতে থাকা বিষয়ভিত্তিক গবেষণা সম্পন্ন করেননি। উক্ত প্রকল্পের আওতায় মোট ১৯টি গবেষণা হওয়ার কথা ছিল। এসব গবেষণার জন্য ব্যয় ১ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতিটি গবেষণার জন্য ব্যয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকালে ১৩টি গবেষণা শেষ হয়েছে। অথচ ওই খাতে বরাদ্দ পুরো টাকাই ব্যয় দেখানো হয়েছে। আর ছয়টি গবেষণা সম্পন্ন না করেই ৬২ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কাজ না করেই টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ওই শুধু একটি প্রকল্প নয়, তিনি দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। দুদক তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, রফিকুল হায়দার বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক পরিচালক ছিলেন। এর আগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ লোপাটের কয়েকটি পৃথক অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

অনুসন্ধান কর্মকর্তা তার অনুসন্ধান শেষ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের পরই কমিশন এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান দুদকের ওই কর্মকর্তা।

দুদকের তথ্যমতে, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক পরিচালক ড. মো. রফিকুল হায়দার ও মাসুদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুদারকে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি এ অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে গত ২০ মার্চ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে ব্যাংক, বীমা, জাতীয় রাজস্ব রোর্ড, সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেন।

জানা গেছে, রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে দুটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। এর মধ্যে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের গবেষণা না করেই অর্থ ব্যয় দেখিয়ে অর্থ লোপাট। দ্বিতীয়টি হচ্ছে- সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধ অপরাধী ছিল না। এসব অভিযোগ তদন্ত চলাকালে তাকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
• মাদকাসক্ত ৭৬২ নারীর মধ্যে ইয়াবা সেবন করেন ৩৯%
• দাদা এমদাদের দাদাগিরি দুদকের জালে
• বৈধ আয় ছাপিয়ে অবৈধ সম্পদের পাহাড়
• ঋণ জালিয়াতিতে এবার 'ছক্কা' সাদ মুসার
• সিটি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার ২৬ বছর কারাদণ্ড
• শীর্ষ ৩ গ্রাহক খেলাপি হলে বিপদে পড়বে ১৯ ব্যাংক
• নারী মাদকাসক্তদের ৭৮ শতাংশ ইয়াবা ও গাঁজা সেবনকারী
• ওসির ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের কাছে চাঁদা দাবি
• ঋণখেলাপি গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দিতেই কি সব উদ্যোগ?
• প্রশ্ন ফাঁসে গ্রেপ্তার সেই রূপা এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved